মোস্তাফিজের ওই ওভারই ম্যাচ পাল্টে দিয়েছে, বললেন সাকিব

তবে ১৪তম ওভারে আক্রমণে ফিরে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। ফিফটি করা মালানকে শিকার করে দেশের দ্বিতীয় বোলার ও প্রথম পেসার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের শততম উইকেট পূরণ করেন তিনি।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। ক্রিজে ছিলেন দুই থিতু হওয়া ব্যাটার ডাভিড মালান ও জস বাটলার। তাদের জয়ের কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাওয়া শুরু হয় পরের ওভারেই। মোস্তাফিজুর রহমান মালানকে লিটন দাসের ক্যাচ বানানোর পর বাটলার হন মেহেদী হাসান মিরাজের সরাসরি থ্রোতে রানআউট। সেসময়ই ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ মোমেন্টাম পেয়ে যায় বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে তারা। জবাবে পুরো ওভার খেলে সফরকারীরা করতে পারে ৬ উইকেটে ১৪২ রান। এতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই সংস্করণের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ করার দারুণ কীর্তি গড়ে স্বাগতিকরা।

ইনিংসের শেষ ৭ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৫৯ রান। হাতে ছিল ৯ উইকেট। ফলে জয়ের পাল্লা তখন ভারী তাদের দিকে। তবে ১৪তম ওভারে আক্রমণে ফিরে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। ফিফটি করা মালানকে শিকার করে দেশের দ্বিতীয় বোলার ও প্রথম পেসার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের শততম উইকেট পূরণ করেন তিনি।

সঙ্গী হারিয়ে টেকেননি ইংলিশ অধিনায়ক বাটলারও। ঠিক পরের বলেই রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। দ্রুত দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে সফরকারীদের ভিত নড়ে যায়। পরে মোস্তাফিজের সঙ্গে তাসকিন আহমেদ ও সাকিব নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যোগ দিলে লক্ষ্য থেকে বেশ দূরে থামে ইংল্যান্ড।

স্মরণীয় সিরিজ জয়ের পর চার ওভারে ১৪ রানে ১ উইকেট শিকার করা মোস্তাফিজকে প্রশংসায় ভাসান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব, 'ওই (১৪তম) ওভারে দুই সেট ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ পুরোপুরি বদলে গেছে। সেখান থেকে আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই এবং তাদেরকে (ইংল্যান্ড) চাপে রাখতে থাকি। আমি মনে করি, মোস্তাফিজ চমৎকার ছিল আজকে। চার ওভারে সে মাত্র ১৪ রান দিয়েছে। অবিশ্বাস্য ভূমিকা রেখেছে সে এই দলের জন্য।'

বিপজ্জনক বাটলারকে বাংলাদেশ সাজঘরে ফেরাতে পারে মিরাজের নৈপুণ্যে। এই সিরিজে দলের ক্যাচিং ও গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের লক্ষণীয় উন্নতি নিয়ে সাকিব বলেন, 'আমি মনে করি, আমরা এই টি-টোয়েন্টি ভালো সিরিজে খেলেছি। বিশেষ করে, আমরা অত্যন্ত ভালো ফিল্ডিং করেছি এই তিন ম্যাচে। এটাই হলো (এই সিরিজের) সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।'

আগামী ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে যে সাফল্যের দিশা মিলেছে, সেই ধারাবাহিকতা নিয়ে বিশ্ব আসরে যেতে চান তারকা অলরাউন্ডার সাকিব, 'সব বোলারই ভালো বল করেছে। তারা সব সময়ই ভালো করেছে। ব্যাটাররাও তাদের ভূমিকা রেখেছে। আগামী বছরের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সব মিলিয়ে ভালো শুরু হয়েছে। এখান থেকে আমরা ভালমতো এগিয়ে যেতে পারি।'

Comments