জার্মানি বাদ পড়ার পর আলোচনায় জাপানের বিতর্কিত গোল

বৃহস্পতিবার ‘ই’ গ্রুপের দুই ম্যাচেই হয়েছে অতি নাটকীয়তা। স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে পরের পর্বে উঠেছে জাপান। কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে উড়িয়েও কান্নায় ভেঙে পড়তে হয়েছে জার্মানিকে। হেরেও গোল গড়ে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় হয়ে স্পেন পা রেখেছে নকআউট পর্বে।
controversial goal by Japan

জার্মানির বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরই ঘটনাটি সামনে এসেছে, তোলপাড় হচ্ছে জার্মান গণমাধ্যমে। স্পেনের বিপক্ষে জাপানের দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে চলছে বিতর্ক। কাওরো মিতোমা ক্রস করার আগেই বল বাইলাইন পেরিয়ে যাওয়ার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু ভিএআরে পরীক্ষার পর  গোলটি বহাল রাখা হয়। যা বাতিল হলে পরের পর্বে যেত জার্মানিই।

বৃহস্পতিবার রাতে 'ই' গ্রুপের দুই ম্যাচেই হয়েছে অতি নাটকীয়তা। স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে পরের পর্বে উঠেছে জাপান। কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে উড়িয়েও কান্নায় ভেঙে পড়তে হয়েছে জার্মানিকে। হেরেও গোল গড়ে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় হয়ে স্পেন পা রেখেছে নকআউট পর্বে।

এখন সব কিছুর মূলে চলে এসেছে জাপানের দ্বিতীয় গোল। স্পেন-জাপান ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হলে গোলগড়ে এগিয়ে জাপানকে পেছনে ফেলে নকআউট নিশ্চিত করত জার্মানি।

ম্যাচের ৫১ মিনিটে বাম পাশ থেকে ক্রস বাড়ান মিতোমা। একটি ভিডিওতে দেখা যায় বল ক্রস করার আগেই পেরিয়ে গেছে বাইলাইন। সেই ক্রস থেকে গোল করে আও তানাকা। মাঠের রেফারি শুরুতে গোল বাতিল করেছিলেন। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্টেন রেফারি (ভিএআর) পরীক্ষা করে তার সিদ্ধান্ত বদলে দেন। ভিএআরের মতে বলটির হালকা অংশ লাইন স্পর্শ করে আছে।

এই নিয়ে তাই সমালোচনা মুখর জার্মান গণমাধ্যম। তারা এটিকে ১৯৬৬ বিশ্বকাপে জিওফ হার্স্টের বিতর্কিত গোলের সঙ্গে তুলনা করছে।

এই গোল বহাল থাকায় ৬ পয়েন্ট পেয়ে যায় জাপান। গোলটি বাতিল হলে জার্মানির সমান ৪ পয়েন্ট হলেও গোলগড়ে পিছিয়ে বাদ পড়ত এশিয়ার দেশটি।

এই ম্যাচে ভিএআরের দায়িত্ব পালন করেন মেক্সিকোর ফার্নান্দো গুয়েরো। লম্বা সময় নিয়ে গোলটি পরীক্ষা করেন তিনি। ক্রীড়া গণমাধ্যম ইএসপিএন জানায়, বল যেহেতু গোলাকার তাই অন্য কোন অংশ দাগের ওপর থাকতে পারে।   গোললাইন ক্যামেরা ব্যবহার করে নাকি সেটা নিশ্চিত হয় ভিএআর।

তবে এতে বিতর্ক থামছে না। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যে অ্যাঙ্গেল ধরা পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বল পেরিয়ে গেছে বাইলাইন। এই ব্যাপারে অন্য কোন অ্যাঙ্গেলের ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করে ব্যাখ্যা দেয়নি ফিফা। 

৫৬ বছর আগে আরেকটি বিতর্কিত গোলে পুড়তে হয়েছিল জার্মানদের। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ সময় পর্যন্ত  ১-১ গোলে সমতায় ছিল জার্মানি। একদম শেষ মুহূর্তে জিওফ হার্স্টের শট ক্রসবারে লেগে গোললাইনে পড়ে, পরে তা ক্লিয়ার করেন জার্মান ডিফেন্ডার। রেফারি প্রথমে কর্নার দিলেও সহকারী রেফারির সঙ্গে আলাপ করে আসে গোলের সিদ্ধান্ত। ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। জার্মানরা এখনো বিশ্বাস করে বলটি গোললাইন অতিক্রম করেনি।  এবার নিজেদের ম্যাচে না হলেও নিজেদের ভাগ্য জড়িত থাকায় জাপানের বিতর্কিত গোল নিয়ে নিজেদের দুর্ভাগা ভাবছে তারা। 

Comments

The Daily Star  | English

$800m repayment to Russia in limbo

About $809 million has piled up in a Bangladesh Bank escrow account to repay loans and interest for the Russia-funded Rooppur Nuclear Power Plant.

10h ago