নাহিদ রানাকে বাংলাদেশ একাদশে না দেখে বিস্মিত বিশেষজ্ঞরা

ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আগ্রহের পুরোটা জুড়েই ছিলেন নাহিদ রানা। গতিময় এই পেসার যেন ছিলেন লাল সবুজের স্পার্ক। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দিন সবাইকে অবাক করে নাহিদকেই একাদশে রাখেনি বাংলাদেশ। এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো বিস্মিত জহির খান, দীনেশ কার্তিক, হার্শা ভোগলের মতন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ দলের প্রাক্তন পারফরম্যান্স এনালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখেরন তো আশা করেছিলেন প্রতি ম্যাচেই নাহিদকে খেলাবে বাংলাদেশ। ভিন্নতা দেখে অবাক তিনিও।
বৃহস্পতিবার দুবাইতে তিন পেসার নিয়েই নামে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের পাশাপাশি তৃতীয় পেসার ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। বাকি দুই পেসার উইকেট পেলেও তানজিম একদম প্রভাব রাখতে পারেননি। ৮.৩ ওভার বল করে তিনি দেন ৫৮, পাননি উইকেট। এমনকি সুযোগ তৈরির মতন পরিস্থিতিও আসেনি তার বোলিংয়ে। বেশিরভাগ সময় বল করতে এসে চাপ আলগা করে দিয়েছেন তিনি।
এদিন ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২২৮ রান করে তেমন একটা লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুবমান গিলের সেঞ্চুরিতে ২১ বল আগেই ৬ উইকেটে জেতে ভারত। তাতে বৃথা যায় তাওহিদ হৃদয়ের মহাবিপদে করা সেঞ্চুরি।
নাহিদকে একাদশে না দেখেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন চন্দ্রশেখরন। নিজের বিস্ময় প্রবলভাবে প্রকাশ করেন তিনি, 'আমি আশা করেছিলাম নাহিদ রানা এই টুর্নামেন্টে সবগুলো ম্যাচেই খেলবে। খুবই হতাশাজনক যে সেটা হচ্ছে না।'
খেলা শুরুর আগে ক্রিকবাজের আলোচনায় বাংলাদেশ একাদশ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন সাবেক ভারতীয় পেসার জহির খান, একই মত দেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ জয় ভট্টচার্য্য। তাদের মতে ঘণ্টায় ১৪৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারা কেউ দলে থাকলে তাকে না খেলানো সত্যিই অদ্ভুত।
কার্তিক, হার্শারা খেলার মাঝে ধারাভাষ্যে নাহিদ রানার প্রসঙ্গে আনেন। গত ভারত সফরে এই পেসারের ভালো করার উদাহরণ টেনে তাকে না রাখার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হয়নি বলে মত দেন।
দুবাইর উইকেটে এদিন স্পিনারদের জন্য বেশ কিছু রসদ থাকলেও স্কিলফুল এক্সপ্রেস পেসারদের জন্যও ছিলো অনেক কিছু। তার প্রমাণ মোহাম্মদ শামির পাঁচ উইকেট শিকার। সেই জায়গায় নাহিদকে না খেলিয়ে বাংলাদেশ ভুল করল কিনা সেই আলোচনা বেশ যৌক্তিক।
Comments