আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ম্যাচের আগের দিনও সাকিবকে নিয়ে রহস্য কাটেনি

বাংলাদেশের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, অধিনায়কের বাম পায়ে আরেকটি এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছে। এই স্ক্যানের প্রতিবেদন, চিকিৎসকদের পরামর্শ ও সাকিবের নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে সব কিছু।

পুনে থেকে

ম্যাচের আগের দিনও সাকিবকে নিয়ে রহস্য কাটেনি

সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান। ছবি: একুশ তাপাদার

মঙ্গলবার টানা ৪৫ মিনিট ব্যাটিং অনুশীলন করেও সাকিব আল হাসানের খেলতে নামা এখনো নিশ্চিত নয়। ভারতের বিপক্ষে তিনি খেলবেন কিনা এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ম্যাচের দিন সকালে।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, অধিনায়কের বাম পায়ে আরেকটি এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছে। এই স্ক্যানের প্রতিবেদন, চিকিৎসকদের পরামর্শ ও সাকিবের নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে সব কিছু।

বুধবার পুনের মহারাষ্ট্র স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন হাথুরুসিংহে। শুরুতেই সাকিবের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। তাতে বেরিয়ে আসে অনিশ্চয়তার সুর,  'সে গতকাল খুব ভালো ব্যাটিং সেশন করেছে। উইকেটে রানিংও করেছে। আজ আমরা একটা স্ক্যান করেছি, সেই স্ক্যানের ফলের অপেক্ষা করছি। তার বোলিং এখনো চেষ্টা করিনি কাল সকালে তাকে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেব।'

শতভাগ ফিট না থাকলে খেলতে নামার ব্যাপারে সাকিবের নিজেরই আপত্তি আছে। বিশ্বকাপের আগে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন শতভাগ ফিট না হয়ে খেলতে নামা দলের সঙ্গে প্রতারণা।

এই ব্যাপারে প্রধান কোচ জানান, কোন ঝুঁকি নেবেন না তারা। সাকিবের খেলা, না খেলা নির্ভর করছে কতগুলো পর্যবেক্ষণ পর,  'সে যদি কাল খেলার মতো প্রস্তুত না থাকে। তাকে নিয়ে আমরা ঝুঁকি নেবো না। তার কাল খেলার সম্ভাবনা আছে।'

'প্রথমত মেডিকেল স্টাফরা তাদের মতামত দেবে। তারা লাল অথবা সবুজ বাতি জ্বালাবে। তারা আমাদের ইঙ্গিত দেবে খেলোয়াড়ের অবস্থা কি। তারা যদি মনে করে এটা ঝুঁকিপূর্ণ না তাহলে খেলোয়াড় সিদ্ধান্ত নেবে খেলবে কিনা।'

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ১৩ অক্টোবর চেন্নাইতে ব্যাট করার সময় মাংসপেশিতে টান পড়ে সাকিবের। পরে বোলিং ও ফিল্ডিং করলেও স্বস্তিবোধ করছিলেন না তিনি। ম্যাচের পর এমআরআই স্ক্যান করা হলেও ফল জানানো হয়নি। তার খেলা, না খেলা রেখে দেওয়া হয়েছে রহস্যের মধ্যে।

Comments

The Daily Star  | English

IMF sets new loan conditions

Bangladesh must clear dues, hit steep revenue, reserve targets for next tranche

8h ago