দিল্লি থেকে

পথের ধারে বিরাট কোহলির প্রিয় ‘ছোলে বাটুরের’ স্বাদ

দিল্লির ছেলে বিরাট এখন  নিজ শহরে খুব একটা থাকেন না। তবে শহরে এলে একটা স্বাদ নাকি প্রায়ই নেন।
বিরাট কোহলি যে দোকানের ছোলে বাটুরের স্বাদ নিতে থাকেন মুখিয়ে
বিরাট কোহলি যে দোকানের ছোলে বাটুরের স্বাদ নিতে থাকেন মুখিয়ে

'রামের ছোলে বাটুরের দোকানের যাবে, গিয়ে পেঁয়াজ-গাজরের চাটনি নিবে। ওটা দিয়ে খাবে ছোলে বাটুরে।'- এক সাক্ষাতকারে রসিয়ে রসিয়ে এমন বর্ণনা দিচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। দিল্লির ছেলে বিরাট এখন  নিজ শহরে খুব একটা থাকেন না। তবে শহরে এলে একটা স্বাদ নাকি প্রায়ই নেন।

তিলক নগর মেট্রো স্টেশনের নাকের ডগায় ২৮ বছর পুরনো 'রাম ছোলে বাটুরে' দোকান। খাবার টেবিলগুলো রাখা হয়েছে রাস্তাতেই। রাস্তার দোকানই বলা যায় তাই।  সকালের হাওয়ায় সেখানে গিয়ে মিলল বেশ গমগমে অবস্থা। কেউ সিঙ্গেল, কেউ ডাবল ছোলে বাটুরের স্বাদে নিজেদের ডুবিয়ে রেখেছেন। খাওয়ায় এতটাই তীব্র মনোযোগ যে কথা বলায় আগ্রহ নেই।

দোকানের ক্যাশ কাউন্টারে বসে থাকা মধ্য বয়স্ক ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করতে জানালেন, 'হ্যাঁ, বিরাট কোহলি, ইশান্ত শর্মারা এই দোকানের খাবার খান। তবে কোহলি নিজে আর আসেন না।'

রামের ছোলে বাটুরের দোকানে লেগে থাকে ভিড়
সকাল বেলা এই দোকানে লেগে থাকে ভিড়

কাছেই অর্ডার দিয়ে টাকা পরিশোধ করতে থাকা আরেক ভদ্রলোক বললেন, 'কোহলি স্কুল জীবন থেকে এখানে খেতো। এখন স্বাভাবিকভাবে নিজে আসার অবস্থায় নেই। তবে ড্রাইভার পাঠিয়ে নিয়ে যায়।'

২০০৮-২০০৯ সালে প্রায় রোজই নাকি এখানে এসে খেতেন কোহলি। এখানে যারা খাচ্ছিলেন তারা সবাই জানেন এসব তথ্য। তবে কোহলি এই দোকানের খাবারের ভক্ত বলেই তারা সবাই খেতে এসেছেন এমন না।

এখানে পাওয়া যায় চার ধরণের খাবার। ছোলে বাটুরে, চাওয়াল ছোলে, নামকিন লাচ্ছি আর সুইট লাচ্ছি। বাটুরে মূলত লুচির মতন দেখতে, ভেতরে থাকে পনির। তারসঙ্গে মশলাধার ছোলা মিলিয়ে স্বাদটা বেশ। গৌতম রাঠে নামক তরুণ বললেন, 'এই দোকানের ছোলে বাটুরের স্বাদ একদম ভিন্ন, আর মেট্রো স্টেশনের কাছে হওয়ায় সকালে খেয়েই কাজে বেরিয়ে পড়া যায়।'

২৮ বছর পুরনো রামের ছোলে বাটুরের দোকান
২৮ বছর পুরনো রামের ছোলে বাটুরের দোকান

কোহলি শেষ কবে এখানে এসেছিলেন? দোকান কর্মচারিদের কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করতে অবশ্য মনে করতে পারলেন না। ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটের মহাতারকা তিনি, পথের ধারের দোকানে এলে পড়তে হবে তুমুল মানুষের ছবি তোলার আবদারে। তবে দোকানের ম্যানেজার জানালেন, ইশান্ত শর্মা এসেছিলেন বছর খানেক আগেও। মুখে মাস্ক থাকায় প্রথমে তাকে চেনা যায়নি, উচ্চতা আর চুলের স্টাইলে পরে নিজেকে আড়াল করতে পারেননি ইশান্ত।

বিরাট কোহলির প্রিয় ছোলে বাটুরে

একটা সময় ভীষণ খাদ্যরসিক ছিলেন কোহলি। নানান মুখরোচক খাবারে তার আগ্রহ ছিল প্রবল, ওজনও হয়ে গিয়েছিল বাড়তি। বাটুরে যেমন বানানো হয় একদম ডুবো তেলে। কোহলি নিজের ফিটনেসকে ভিন্ন ধাপে নিয়ে জিহবাকে সংবরণ করছেন গত কয়েক বছর। প্রিয় সব খাবার বাদ দিয়েছেন ম্যানু থেকে। 

তবে দিল্লিতে ভারতের কোন সিরিজ বা খেলা থাকলেই নাকি রাম ছোলে বাটুরের পাশের মানুষ প্রতীক্ষায় থাকেন, যদি গাড়ি নিয়ে হাজির হন মহাতারকা। ড্রাইভারকে পাঠিয়ে নিলেও গাড়ির ভেতরে থাকা তাক তো এক ঝলক দেখা যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Horrors inside the Gaza genocide: Through a survivor’s eyes

This is an eye-witness account, the story of a Palestinian in Gaza, a human being, a 24-year-old medical student, his real human life of love and loss, and a human testimony of war crimes perpetrated by the Israeli government and the military in the deadliest campaign of bombings and mass killings in recent history.

1d ago