রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে—চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে দুই দশমিক ৭৬ শতাংশ।
‘হুন্ডি কমে যাওয়ায় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসা বেড়েছে।’
আইএমএফ প্রতিনিধি দলটি ঋণ শর্তের অধীনে বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কার পর্যালোচনায় আগামীকাল থেকে দুই সপ্তাহ ঢাকায় সরকারের মূল সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হতে পারে। এটি চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের প্রায় সমান ও সংশোধিত বাজেটের...
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। কারণ প্রায় দুই বছর ধরে নয় শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি নিয়ে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।
ঋণের বাকি কিস্তি পেতে সরকারকে অবশ্যই কিউপিসি মানদণ্ড মেনে চলতে হবে। এখনো কর আদায় সেই বাধ্যতামূলক মানদণ্ড ছুঁতে পারেনি।
শফিকুল আলম বলেন, দেশের মানুষের ভালোর জন্য এবং প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, নতুন বছরে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে কি না এর উত্তর রাজনীতিবিদদের কাছে।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে নয় শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ দফার কিস্তির পরিমাণ ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।
‘মুদ্রার বিনিময় হার আরও বাজারভিত্তিক হবে। একটি ব্যান্ডের মাধ্যমে মুদ্রার দাম কম-বেশি করার অনুমতি দেওয়া হবে, যাতে এর বিনিময় হার প্রকৃত বিনিময় হারের কাছাকাছি থাকে।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার হবে ৮ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা, যা চলমান ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ বেশি।
দ্বিতীয় কিস্তিতে বাংলাদেশ যে ঋণ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, তা দিয়ে কমপক্ষে ১৫ দিনের খরচ চালানো যাবে।
২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।
আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ আইসান এইচ মনসুর বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সমন্বিত হারে লেনদেন হচ্ছে না।
শ্রীলঙ্কার ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক দুশনি বীরাকুন বলেন, ‘আপনি যদি বৈদেশিক খাতের চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুদ্রার বিনিময় হার সামঞ্জস্য করতে না দেন, তাহলে একবার রিজার্ভ কমতে...
গত ১৮ মাসে উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে অর্থনীতির এই দুই প্রধান সূচক।
তবে আগামী জানুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচনের পর কঠোর সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।
দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশে।