নিহত কমান্ডার আলি শাদমানি ছিলেন আইআরজিসির প্রকৌশল ও নির্মাণ সংস্থা খাতাম আল-আনবিয়া’র কেন্দ্রীয় সদরদপ্তরের প্রধান।
ইরানের সরকারি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও শহরের পূর্বাঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এসব জায়গায় আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেছেন, পাল্টা হামলা চালাতে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০ ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান।
হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। ওই হামলা শুরুর পর এটিই একদিনে আইডিএফ’র সবচেয়ে বড় সামরিক ক্ষতির ঘটনা।
আইডিএফ অবশ্য এসব দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই অঞ্চলে সেনা সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন পরিকল্পনা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল গঠন ও ফিলিস্তিনিদের গণহারে তাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে বিতাড়ণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এটি ‘মহাবিপর্যয়’ বা ‘নাকবা’ নামে পরিচিত।
ওই হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল হোদেইদা বন্দর ও নিকটবর্তী শহর বাজিলের (ইসরায়েল থেকে দুই হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত) একটি কংক্রিট কারখানা।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, গাজা দখলে নিতেই নতুন করে অভিযান সম্প্রসারণ ও তীব্র করছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাদের আদেশ অমান্য করার পরামর্শ দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আমিরাম লেভিন।
অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর এক দিনে এটাই ইসরায়েলের সর্বোচ্চ সেনা নিহতের ঘটনা।
আইডিএফ নিহত সেনাদের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেছে।
গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণের বিষয়ে কোনো গোপনীয়তা রাখেনি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। আক্রমণের শুরুর দিকে দেশটির বিমান বাহিনী প্রধান নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার কথা জানিয়েছিলেন। তবে বলেছিলেন, তারা কেবল হামাসের...
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৯০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এর আগে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, হাসপাতালে জ্বালানি সংকট ও অক্সিজেনের অভাবে ২ নবজাতক মারা গেছে এবং বাকিদের জীবনও ঝুঁকিতে আছে।