মঙ্গলবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে চায় বা ফেরত নেয়ার যোগ্য মনে করে বলে যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে—তাতে এখনই আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই।
গত ১ মার্চ সন্ধ্যায় টেকনাফের নাফ নদী থেকে পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। ২৫ মার্চ তাদের হাতে আটক হন আরেক জেলে।
এর আগে সামরিক জান্তা ২০২৫ সালে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেও এই সিদ্ধান্তে সেই উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
আরেকটি জাহাজ এখনো আরাকান আর্মির কাছে আটক আছে।
মিয়ানমারে মোট ২৫টি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে ১৫টি মাগওয়ে প্রদেশে, ৭টি বাগো প্রদেশে, দুইটি রাজধানী নেপিদো’র তাতকোনে এলাকায় এবং একটি ইয়ানগনের তাইককি টাউনশিপে।
আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরোধ পুরনো। সুতরাং পুরো রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে রোহিঙ্গারা আরও সংকটে পড়বে এবং সেখানেও হয়তো তাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
এই অর্জনে রাখাইন রাজ্যে নিজেদের শাসন ব্যবস্থা চালুর পথে আরেক ধাপ এগিয়েছে আরাকান আর্মি।
নির্মাণ সামগ্রীবোঝাই দুটি ট্রলারও নিয়ে গেছে তারা।
‘তাদের মধ্যে ১৫ জন সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মিয়ানমারে ইতোমধ্যে চীন ও ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কিছু সামরিক ঘাঁটি ও বাণিজ্য রুটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'সরকার যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই কাউকে ভয় করি না।'
বাংলাদেশে মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণের জন্য আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করেছে মিয়ানমার।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত আকাশ ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে রোহিঙ্গাদের।
২ দিন বিরতির পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে আবারও গোলাগুলির তথ্য পাওয়া গেছে। এতে সীমান্তের কাছে বসবাসরতদের মধ্যে নতুন...