দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বাঁশি, হর্ন ও ড্রাম বাজিয়ে, ইসরায়েলের পতাকা ও আটক জিম্মিদের ছবি উঁচিয়ে লাখো ইসরায়েলি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আজকের ধর্মঘট ও কর্মবিরতিতে অংশ নেন।
শৈশব থেকেই রোমান ক্যাথলিক হিসেবে বেড়ে উঠেছেন ম্যাডোনা। তিনি নবনিযুক্ত পোপকে গাজা উপত্যকায় গিয়ে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা নিজের চোখে দেখার আবেদন করেছেন।
ট্রাম্পকে পাঠানো চিঠিতে কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমাদের পেশাদারি মূল্যায়ন হলো, হামাস এখন আর ইসরায়েলের প্রতি কোনো ধরনের কৌশলগত হুমকি সৃষ্টি করছে না।’
হাজারো বিক্ষোভকারী আজ রোববার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ত্রাণ বিতরণের পরিমাণ বাড়ানোর দাবিতে সিডনির সাগর সৈকতে অবস্থিত বিখ্যাত সেতুতে ভিড় জমান। সকলেই গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সৃষ্টি মানবিক সংকটের...
২০২৫ সালে গাজায় অপুষ্টিতে ভুগে ৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৩ জনই জুলাই মাসে মারা গেছে। মৃতদের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৪ শিশু, পাঁচের বেশি বয়সী এক শিশু ও ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ আছেন।
ত্রাণ প্রবেশ সহজ করতে গাজার কিছু জায়গায় চলমান যুদ্ধে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল।
বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনা জানায়, ‘নিরীহ বেসামরিক মানুষের কোনো ক্ষতি হয়ে থাকলে সেজন্য আইডিএফ অনুতপ্ত।’
কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। পরোক্ষ বৈঠকে হামাস ও ইসরায়েল তাদের শর্তগুলো উপস্থাপনের পর দরকষাকষি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু থেমে নেই ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ।
কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এএফপি এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামাস এ মুহুর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ছয় সপ্তাহের বিরতির নতুন প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করছে। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্বশেষ উদ্যোগ...
হামাসের নীতিনির্ধারকদের অন্যতম মুহাম্মাদ নাজাল কাতারের টিভি চ্যানেল আল আরাবিকে জানান, হামাসের লক্ষ্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ‘বন্দি’ বিনিময়
স্থায়ীভাবে গাজার সংঘাত নিরসনের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে দুই পক্ষের দ্বিমতের কারণে এখনো এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়নি।
এই প্রস্তাবে হামাসের সর্বশেষ দাবি মানা হয়নি। সংগঠনটি এর আগে জানায়, গাজায় স্থায়ী ভাবে আগ্রাসন বন্ধ না হলে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। বরং, আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ‘পরিবেশ সৃষ্টির’ বিষয়ে বলা হয়েছে।
তবে চলতি আলোচনায় দুই পক্ষ ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারবে কী না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। দুই পক্ষের শর্তে রয়েছে উল্লেখযোগ্য ব্যবধান।
গত ১ ডিসেম্বর সাত দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলে গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে যুদ্ধবিরতির চাপ বেড়ে যায়।
‘ইসরায়েলকে ক্রমাগত অস্ত্র ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নৃশংসতায় জড়িয়ে পড়েছে। তারা গাজায় সব ফিলিস্তিনিকে শাস্তি দিচ্ছে।’
আজ গাজা শহরে নতুন করে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আজ জানিয়েছে, ‘মধ্যস্থতাকারীদের জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার উদ্যোগ ও চুক্তির শর্ত মেনে চলার’ শর্তে গাজা উপত্যকার যুদ্ধে সাময়িক বিরতি অব্যাহত থাকবে।