নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ভুলতা, মাওনা ও টঙ্গীসহ গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় অনেক বস্ত্র কারখানার উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে।
‘দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের চার হাজার এমসি গ্যাস দরকার, সেখানে তিন হাজার এমসি পাচ্ছি।'
নতুন করে কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন করা হবে না।
যথাযথ কাগজপত্র ও মান পরীক্ষা ছাড়াই বিপুল পরিমাণ সুতা দেশে প্রবেশ করায় ভারত থেকে সব স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার দাবিও তারা জানিয়েছেন।
নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানিকগঞ্জে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাও করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহক ও শিক্ষার্থীরা।
‘এমনকি সরকার গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ব্যয় করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
ব্যয়ের বেশিরভাগই ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে।
‘আমরা আমাদের গ্যাস সরবরাহের ৩০ শতাংশ আমদানি করি। এফএসআরইউ না থাকায় আমাদের গ্যাসের ১০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া আমাদের স্থানীয় গ্যাস উৎপাদনও কমে যাচ্ছে।’
'ভাসমান টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণ চলছে, ৩০ মার্চের আগে সেটি ঠিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই'
কেন এই তীব্র সংকট?
তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভুগছেন।
নগরবাসী জানান, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি—এই চার মাস তারা একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
‘কারখানাগুলোর সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রয়োজন। কারখানাগুলো যদি পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে চলতে না পারে, তাহলে তারা লোকসানে পড়বে। ফলে এ খাতে বিনিয়োগ করতে কেউ আগ্রহী হবেন না।’
‘এলএনজি টার্মিনাল থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। শনিবার থেকে তা কমিয়ে ৬০০ মিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলাতেও গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে।’
তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না বাড়ালে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তাদের উৎপাদন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
‘তিতাস গ্যাসের কাছ থেকে আমরা এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’
নগরীর বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন নয়াহাটের নিজ বাড়িতে রোববার রাতে ১০০ পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তারা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এসব পণ্যের দাম দেড় থেকে ২ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।