তাদের দাবি, বিদেশি চাহিদা বা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা নিয়ে দুশ্চিন্তার চেয়ে আসল চ্যালেঞ্জ দেশের ভেতরেই।
বারো মাস পর অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে, তবে পুরোপুরি ঠিক হয়নি।
এক বিবৃতিতে তৈরি পোশাক নির্মাতাদের সংগঠনটি জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত সরকারি ছুটির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পোশাক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হলে বাংলাদেশ কম শুল্কের সুবিধা পাবে।
সিপিডির তথ্য বলছে, একই ধরনের পণ্যের জন্য এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সব সময়ই কম দাম পায়।
প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের দিক থেকেও প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে বাংলাদেশ। উভয় দেশের পণ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কহার তুলনামূলক কম। তাই এই দেশ দুটি কম দামে পোশাক রপ্তানিতে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। এটি...
আঞ্চলিক বাণিজ্য সুবিধার অংশ হিসেব ভারতীয় রুট ব্যবহার করে এসব পণ্য রপ্তানি করা হয়েছিল।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতারা রেডি-টু-শিপ পণ্যের ওপর বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের কাছে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দাবি করছেন। পোশাক তৈরির প্রক্রিয়ায় রপ্তানিকারকদের দেরি করতে বলছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রধান বাজারগুলোয় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি জোরালোভাবে ঘুরে দাঁড়ালেও প্রতি পোশাকের দাম কমেছে।
আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর এমন চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের পোশাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, বস্ত্র কারখানার পাশাপাশি তাঁতিরাও তাদের উত্পাদন বাড়াচ্ছেন।
দেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের কাছে সুতার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত ২ সপ্তাহ ধরে অভ্যন্তরীণ বাজারে বাড়তি সুতার দাম।
ইইউ ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের সব গার্মেন্টস পণ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুতা থেকে তৈরি হতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অংশ ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ, কিন্তু গত বছর তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে দেশটি দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। গত সোমবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, সারাবিশ্বে হ্যাট-ক্যাপের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি ৪২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সিডনির আন্তজার্তিক কনভেনশন সেন্টারে আজ শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনীতে ২৯টি দেশের প্রায় ৩৫০ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৫ শতাংশ পোশাক রপ্তানি করা হয়।
ইউরোপের মতো বড় বাজারগুলোয় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের হিমায়িত ও টাটকা মাছ, কৃষিপণ্য, চামড়া ও চামড়ার জুতা এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে।