আঞ্চলিক বাণিজ্য সুবিধার অংশ হিসেব ভারতীয় রুট ব্যবহার করে এসব পণ্য রপ্তানি করা হয়েছিল।
‘এই বিরতি বাংলাদেশকে প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় দিচ্ছে।’
গত সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিগগিরই ৩২৫ কোটি টাকা ছাড় দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৯৯ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন ডলার।
স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, গত বছর পশ্চিমা বাজারে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ায় বেশি সুতা আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের একক বৃহত্তম ক্রেতা। চীনের পর বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক প্রস্তুতকারক।
রপ্তানি কমার পেছনে ইউরোপের উচ্চ মূল্যস্ফীতিরও প্রভাব আছে। ফলে, বেশিরভাগ দেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল।
বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে ভালো করেছে। কারণ তথ্যে দেখা গেছে, তাদের রপ্তানির পরিমাণের দিক দিয়ে বেড়েছে।
পুনর্গঠিত পর্ষদ কার্যকরভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘ইস্টাবলিশিং এ ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস ফর বাংলাদেশি অ্যাপারেলস’ শীর্ষক গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকার অনলাইন পোশাকের বাজার দাঁড়াবে ৩০৮ বিলিয়ন...
পশ্চিমের খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর দোকানে পোশাক মজুত থাকায় ও ক্রেতারা উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভোগায় গত বছর পোশাক রপ্তানি কম হয়েছে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক ও অন্যান্য স্বল্প প্রয়োজনীয় পণ্যে ক্রেতারা খরচ কমিয়েছেন। ফলে দেশটির দোকানগুলোতে পুরোনো পণ্য জমে যায়।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবরে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে ১৭৮ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি ও চীন ১৫৯ দশমিক ২৫ মিলিয়ন কেজি পোশাক রপ্তানি করেছে।
হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এ কে আজাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের ৯০ শতাংশের বেশি চালান যায় যুক্তরাষ্ট্রে। আমাদের কারখানার পোশাক রপ্তানির বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রমিকরা কাজে ফিরে আসায় প্রায় সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। গার্মেন্টস খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে।’
শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী মালিকরা কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ নতুন নিয়োগ বন্ধের পাশাপাশি যেসব কারখানায় ভাঙচুর করা হয়েছে, সেখানকার শ্রমিকদের নাম উল্লেখ করে নিকটবর্তী থানায় মামলা অথবা নাম না পাওয়া গেলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের...
কাপড় ও তৈরি পোশাকের চালান সম্মিলিতভাবে বিবেচনা করলে আয় দাঁড়াবে পাঁচ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। এটি ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম।
মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকেরা।