তিনি আরও বলেন, আরাকানের যে অবস্থা তাতে সেখানে করিডোরের কোনো প্রয়োজন নেই।
সারগুলো শুল্ক ছাড়াই রাখাইন রাজ্যে পাচার করা হচ্ছিল বলে কোস্টগার্ড জানিয়েছে।
অনুমতি না পেলে, এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাখাইন অঞ্চলে আরাকান আর্মির কর্তৃত্ব যত বাড়বে, এই অঞ্চলের ভূরাজনীতি তত বেশি জটিল হবে।
এর আগে সামরিক জান্তা ২০২৫ সালে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেও এই সিদ্ধান্তে সেই উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
মিয়ানমারে মোট ২৫টি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে ১৫টি মাগওয়ে প্রদেশে, ৭টি বাগো প্রদেশে, দুইটি রাজধানী নেপিদো’র তাতকোনে এলাকায় এবং একটি ইয়ানগনের তাইককি টাউনশিপে।
এই অর্জনে রাখাইন রাজ্যে নিজেদের শাসন ব্যবস্থা চালুর পথে আরেক ধাপ এগিয়েছে আরাকান আর্মি।
প্রতিবেদন মতে, আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করলে একটি উদীয়মান আধা-রাষ্ট্র (পুরোপুরি সার্বভৌম নয় এমন) সৃষ্টি হবে এবং এ রাজ্যের বাসিন্দারা মানবিক সংকটে পড়বে।
শনিবার টেকনাফ সীমান্তের দুটি পয়েন্ট দিয়ে ৪০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
রোহিঙ্গাদের আদি নিবাস রাখাইনে মোখার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতেই অনিশ্চিত হয়ে গেছে কবে শুরু হবে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পূর্বপুরুষের ভিটেমাটিতে ফিরতে চান তারা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সকাল ৯টার দিকে তারা নৌপথে স্পিডবোটে রওয়ানা দেন।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন প্যান্ডেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ, মিয়ানমারের পাইলট প্রকল্পের বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউএনএইচসিআর এসব আলোচনায় জড়িত নয়।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারায় ও ভাষাগত দূরত্বের কারণে তারা দিন দিন রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা থেকে পিছিয়ে পড়তে থাকে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশকে (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের পঞ্চম বর্ষ পূর্তিতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন।