আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।
‘আমরা সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’
‘নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে বিএনপি আর সহিংসতাহীন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অবস্থান ধরে রাখতে পারল না। আর তাতেই ক্রমশ মনোবল হারানো আওয়ামী লীগ মনোবল ফিরে পেয়েছে।’
গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে দিনভর উত্তাপ, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মধ্যে ঘোষণা আসে এই হরতালের।
‘আমরা রাজপথে থেকে এ হরতাল প্রতিরোধ করবো৷’
ডিএমপি মিডিয়া সেল দাবি করেছে, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
কাকরাইল এলাকা জুড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পুরো এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। পুলিশ তাদের কাজ করছে। কাকরাইল মোড় এলাকায় যারা হামলা করেছিল তারা এখান থেকে সরে গেছে।’
‘সব সার্টিফিকেট নিয়েই বের হয়েছি বাড়ি থেকে।’
‘এই জন্যই রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলে বাস নিয়ে বের হতে চাই না আমরা।’
দূরদূরান্ত থেকে আসা ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করছে পুলিশ।
মহাসমাবেশ ও সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা যাতে সংঘাতের দিকে না গড়ায়, সে কারণে পুলিশ ২ পক্ষকেই বেঁধে দিয়েছে ২৩টি শর্ত।
আওয়ামী লীগের ৩টি সংগঠনকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ও বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত আমরা কাউকে অনুমতি দেইনি
‘পুলিশ গণগ্রেপ্তার করছে না।’
যারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি করেন না; যারা সরাসরি কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত নন—সেই আমজনতার দফা কী? তারা কী চান? প্রধান দুই দলের নেতারা কি জনগণের প্রত্যাশা বা জনগণের কী দফা
এই তল্লাশিকে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দাবি করেছে পুলিশ।
‘কোনো বাধাই আমাদের সমাবেশে যোগ দেওয়া আটকাতে পারবে না।’
‘সরকার পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেওয়া জন্য প্যারালাল কর্মসূচি দিচ্ছে, যা জাতিকে একটা সহিংসতা ও সাংঘর্ষিক অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে, যা আমরা এড়াতে...
আগামীকালের সমাবেশে জনতার ঢল নামবে, এই সমাবেশ হবে ঐতিহাসিক—বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।