আকার দেখে গাড়ি চিনবেন যেভাবে

রাস্তায় যখন আপনি কোনো গাড়ি দেখতে পান, তখন প্রথম কোন জিনিসটি লক্ষ্য করেন? সাধারণত এর আকৃতি, যাকে বলা হয় ‘বডি স্টাইল’। এই বডি স্টাইল যানবাহনকে শ্রেণিবদ্ধ করার সবচেয়ে সহজ উপায়। 
আকার দেখে গাড়ি চিনবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান যুগের গাড়ির বাজার বিপুল সংখ্যক মডেল ও বৈচিত্র্য রয়েছে। আপনি যদি দেখেই একটি গাড়ির ধরন বুঝতে চান তাহলে তার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, প্রথমে গাড়িটির বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য দেখা। 

রাস্তায় যখন আপনি কোনো গাড়ি দেখতে পান, তখন প্রথম কোন জিনিসটি লক্ষ্য করেন? সাধারণত এর আকৃতি বা যাকে বলা হয় 'বডি স্টাইল'। এই বডি স্টাইল যানবাহনকে শ্রেণিবদ্ধ করার সবচেয়ে সহজ উপায়। 

বডি স্টাইল বলি আর সাধারণ অর্থে নকশা বলি; চলুন দেখে নেওয়া যাক কোনটা কেমন। 

সেডান (সেলুন)

সম্ভবত আমাদের সবচেয়ে পরিচিত গাড়ির ধরন হিসেবে আছে সেডান। সেডানই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় গাড়ি। এ ধরনের গাড়ি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল ১৯১২ সালে।

একটি সেডানের থাকে ৪টি দরজা। এতে রয়েছে একটি থ্রি-বক্স কনফিগারেশন। যাতে সামনে আছে একটি পৃথক ইঞ্জিন বগি, মাঝে যাত্রীর আসন এবং পেছনে কার্গো ট্রাঙ্ক। সাধারণত একটি সেডানে আসনের জন্য দুটি সারি এবং ছাদটিকে ধরে রাখতে থাকে বি-পিলার। 

অন্যান্য ক্যাটাগরির গাড়ির মতো এগুলাও ছোট, কমপ্যাক্ট, মাঝারি এবং বড় আকারে পাওয়া যায়। যেগুলোকে ফুল-সাইজ, মিড-সাইজ, স্পোর্টস, লাক্সারি সেডান ইত্যাদি বিভাগেও বিভক্ত করা হয়। 

মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং লেক্সাসের মতো বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলোতেও বিভিন্ন ধরনের সেডান রয়েছে। এ ছাড়া হোন্ডা অ্যাকর্ড, বিএমডব্লিউ ৫ সিরিজ, নিসান ভার্সা, হোন্ডা সিভিক, টয়োটা করোলা, নিসান আল্টিমা, টয়োটা অ্যাভালন, ডজ চার্জারসহ বিভিন্ন মডেলের অনেক ব্র্যান্ডের সেডান বাজারে রয়েছে।

হ্যাচব্যাক

হ্যাচব্যাক শব্দটি একটি কম্প্যাক্ট বা সাবকমপ্যাক্ট সেডানকে বোঝায়। যার একটি বর্গাকার ছাদ এবং পেছনে একটি ফ্লিপ-আপ বা ওপরের দিকে উঠানোর মতো হ্যাচ দরজা রয়েছে। হ্যাচ-টাইপ পেছনের দরজাটি উপরের দিকে খুললে তা ছাদের স্তরে আটকে থাকে। যেটি আপনাকে সরাসরি গাড়ির কার্গো এলাকায় প্রবেশের সুবিধা দেয়। যে সুবিধা আপনি সাধারণত প্রচলিত ট্রাংকের ক্ষেত্রে পাবেন না। এ ছাড়া ট্রাংকের তুলনায় এটি আপনাকে অধিক জায়গার সুবিধাও দেয়।

হ্যাচব্যাক বডি স্টাইলের আধুনিক রূপটি ১৯৭০-এর দশকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে হ্যাচব্যাক স্টাইলের দরজাগুলো এসইউভি, স্পোর্টস কার এবং মাঝারি আকারের বিলাসবহুল গাড়িতেও ব্যবহৃত হয়।

হ্যাচব্যাকের মধ্যে রয়েছে হোল্ডেন অ্যাস্ট্রা, কিয়া পিকান্টো, ভক্সওয়াগন গল্ফ-এর মতো গাড়িগুলো। এ ছাড়া সম্প্রতিকালে অডি এ৭ এবং কিয়া স্টিংগারের মতো কিছু বড় গাড়িতেও হ্যাচব্যাক দেখা যায়। 

ক্যুপ 

ক্যুপের ছাদ সাধারণত পেছনের দিকে ঢালু হয়। এ ছাড়া এতে দুটি দরজা এবং একটি ট্রাঙ্ক থাকে। তবে অনেক অটোমোবাইল কোম্পানি প্রায় ২ দশক ধরে ক্যুপ হিসেবে ৪ দরজার গাড়িও বাজারজাত করে আসছে। তবে অনেকেই এখনো ক্যুপকে শুধু ২ দরজার গাড়ি হিসেবেই বিবেচনা করেন। কুপের ২ বা ৪ আসনের একটি কেবিন রয়েছে এবং এর পেছনের সারিতে জায়গা খুবই সীমিত।

ক্যুপগুলো তাদের উচ্চ-কর্মক্ষমতা, বিলাসবহুল বৈশিষ্ট্য, স্পোর্টি এবং স্টাইলিশ লুকের জন্য সুপরিচিত। যেহেতু এই ধরনের গাড়ি সাধারণত বিলাসবহুল বাজারের জন্য সংরক্ষিত, তাই সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি নির্মাতারা ক্যুপ মডেল খুব একটা তৈরি করেন না। 

আজকাল বেশিরভাগ স্পোর্টস এবং মাসল কারগুলোতেও ক্যুপ বডি দেখা যায়। যার মধ্যে ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টাডর, বুগাটি ভেরন এবং ফোর্ড মাস্ট্যাং অন্যতম। ক্যুপ গাড়ির উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিএমডাব্লিউ এম২, অডি আর৮, অডি এ৫, পোর্শা বক্সস্টার, শেভ্রোলেট কর্ভেট ইত্যাদি। 

কনভার্টিবল

কনভার্টিবলে আপনি কোনো ছাদ ছাড়াই গাড়ি চালাতে পারবেন। খোলা আকাশে ড্রাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় কনভার্টিবলে। ছাদ খোলা রাখা এবং ঢেকে দেওয়ার প্রক্রিয়া গাড়ির মডেলের ওপর নির্ভর করে। 

কনভার্টিবলের ছাদগুলোর সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো- বিচ্ছিন্নযোগ্য হার্ডটপ এবং ভাঁজযোগ্য টেক্সটাইল ছাদ। তবে বেশিরভাগ কনভার্টিবলেরই একটি ফেব্রিক বা কাপড়ের তৈরি ছাদ থাকে, যা সয়ংক্রিয়ভাবে ভাঁজ করা যায়। তবে কয়েকটির ক্ষেত্রে তা হাত দিয়ে নামাতে হয়। 

আধুনিক কনভার্টিবলগুলোর রয়েছে একটি স্পোর্টি লুক এবং যেগুলো দেখতে খুবই স্টাইলিশ।

কনভার্টিবল গাড়ির উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মাজদা এমএক্স-৫ মিয়াটা আরএফ, শেভ্রোলেট ক্যামারো, পোর্শে ৯১১ ইত্যাদির নাম।

স্পোর্টস কার

সবচেয়ে স্পোর্টি, হটেস্ট এবং সবচেয়ে সুন্দর চেহারার ক্যুপ ও কনভার্টিবল হচ্ছে স্পোর্টস কার। এগুলোর বডি খুবই নিচু ধরনের এবং প্রায়ই অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়। 

এগুলো সাধারণত ২ আসনের হয়, তবে কখনো কখনো পেছনের দিকে ছোট আসনও থাকে। পোর্শা ৯১১ এবং মাজদা মিয়াটা-এর মতো গাড়িগুলো হলো সাধারণ স্পোর্টস কার। কিন্তু আপনি ফোর্ড মাস্ট্যাং এবং ডজ চ্যালেঞ্জারের মতো মাসল কারকেও স্পোর্টস কারের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। 

তারপর রয়েছে আকাশচুম্বী দামের, হাই-এন্ড ফেরারি ৪৮৮ জিটিবি এবং অ্যাস্টন মার্টিন ভ্যানটেজের মতো গাড়িগুলোও। 

সুপার কার

কিছু কিছু বিলাসবহুল গাড়ির অন্যান্য গাড়ির তুলনায় উচ্চতর কার্যক্ষমতা থাকার কারণে সেগুলোকে সুপার কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সব গাড়ির উৎপাদন খুবই সীমিত এবং এক্সক্লুসিভ হওয়ায় কারণে তাদের দামও অনেক বেশি হয়। বুগাটি ভেরন ১৬ দশমিক ৪, ম্যাকলারেন পি১ ইত্যাদি হলো বাজারে পাওয়া কয়েকটি শীর্ষ সুপারকার।

স্টেশন ওয়াগন

ওয়াগন অনেকটা সেডানের মতোই। তবে ট্রাঙ্কের পরিবর্তে এতে রয়েছে একটি বর্ধিত ছাদ এবং পিছনে একটি হ্যাচ দরজা। ওয়াগন হ্যাচব্যাক গাড়ির মতোই কিন্তু এর বডি তুলনামূলক লম্বা। যার কারণে এর ভেতরের জায়গাও অনেক বেশি।

এই গাড়িগুলোর পিছনের দিকে খাড়া মই, ডি-পিলার, ৩ সারির আসন এবং লোড ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পিছনের সাসপেনশন রয়েছে। যেগুলো সাধারণত হ্যাচব্যাকে থাকে না।

ওয়াগন গাড়ি ১৯৫০ দশকে অনেক ভালো বিক্রি হয়েছিল। তবে এসইউভি এবং মিনিভ্যানের প্রবর্তনের ফলে এগুলোর জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। গত কয়েক দশক ধরে ক্রেতাদের মধ্যে ওয়াগনের প্রতি পছন্দও কমে গেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য অপেক্ষাকৃত কম পাওয়া যায় এটি।

ওয়াগন গাড়ির উদাহরণ হিসেবে রয়েছে ফোর্ড মনডেও, মাজদা ৬ প্লাস, ইত্যাদি।

স্পোর্ট-ইউটিলিটি ভেহিকেল (এসইউভি)

এসইউভি-এর কোনো আদর্শ সংজ্ঞা নেই। তাদের ব্যবহারও একেক দেশে একেক রকম। অনেকে এসইউভি-এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, অফ-রোডে চলার চমৎকার ক্ষমতা রয়েছে যেসব গাড়ির সেগুলো এসইউভি। আবার কেউ কেউ দাবি করেন যে, এসইউভি একটি হালকা ট্রাকের আদলে তৈরি গাড়ি।

তবে সাধারণত, একটি এসইউভি অফ-রোড বাহন এবং রাস্তা দিয়ে চলা যাত্রীবাহী গাড়িগুলোর বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি সমন্বয়ে তৈরি। এটি মাটি থেকে বেশ উঁচু, এতে রয়েছে ফোর-হুইল ড্রাইভ, বড় চাকা এবং এর বাহ্যিক নকশা বেশ রুক্ষ-শুক্ষ।

এসইউভি-এর উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শেভ্রোলেট টাহোই, টয়োটা হাইল্যান্ডার এর কথা। 

মিনিভ্যান

মিনিভ্যান, যেগুলোকে ইউরোপে বহুমুখী যানবাহনও বলা হয়। এগুলো প্রাথমিকভাবে পেছনের আসনের সারিগুলোতে অনেক মানুষ পরিবহনের জন্য নকশা করা হয়। যেগুলোকে আবার ২টি বা ৩টি সারিতে পুনরায় সেটআপও করা যায়। এগুলোর সুবিধা হচ্ছে এগুলো খুবই প্রশস্ত, আরামদায়ক এবং এদের রয়েছে অধিক যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা।

এগুলোর বডি কনফিগারেশনটি 'টু-বক্স' বা 'ওয়ান-বক্স' ধরনের। রয়েছে পিছনের যাত্রীদের জন্য একটি স্লাইডিং দরজা এবং এর ছাদটি বেশ উঁচু।

এখনকার মিনিভ্যানগুলোতে রয়েছে বিস্তৃত ধরনের প্রযুক্তির সমাহার, স্টাইলিশ অভ্যন্তরীণ নকশা, ভালো হ্যান্ডলিং এবং আকর্ষণীয় কর্মক্ষমতা। ২০১৮ সালের হিসাবে ইউরোপে সর্বাধিক বিক্রি হওয়া ৩টি মিনিভ্যান ছিল সিয়াট আলহামব্রা, ফোর্ড এস-ম্যাক্স এবং ভক্সওয়াগেন শারান।

এই ধরনের গাড়ির আরও কিছু দুর্দান্ত উদাহরণ হচ্ছে হোন্ডা ওডিসি, ক্রিসলার প্যাসিফিকা এবং টয়োটা সিয়েনা। 

পিকআপ ট্রাক

পিকআপ ট্রাকে একটি যাত্রীবাহী ক্যাবের পাশাপাশি পেছনে রয়েছে একটি খোলা কার্গো। তবে অনেক পিকআপ ট্রাকের ক্ষেত্রে পেছনের খোলা কার্গোটি বন্ধ করার সুবিধা থাকে। প্রায় সব পিকআপই অল-হুইল ড্রাইভ বা পার্ট-টাইম ফোর-হুইল ড্রাইভের হয়ে থাকে। এগুলোকে হালকা ধরনের ট্রাকও বলা যেতে পারে। একটি সাধারণ পিকআপে দুটি দরজা এবং একটি আসনের সারি থাকে। বড় পিকআপগুলোতে মূল আসনের পেছনে আরেকটি ছোট আসনের সারিও থাকে। বর্তমানে দুটি আকারের পিকআপ ট্রাক পাওয়া যায়, একটি ফুল-সাইজ এবং আরেকটি মিড-সাইজের।

এদের অফ-রোড পারফরম্যান্স খুবই দুর্দান্ত এবং অনেক ভারী মালামাল বহনের ক্ষমতা রয়েছে। কয়েকটি পিকআপ ট্রাকের উদাহরণ হচ্ছে, ফোটন টুনল্যান্ড, জিএমসি ক্যানিয়ন। 

লিমুজিন

'লিমুজিন' শব্দটি এসেছে ফরাসি অঞ্চল 'লিমুসিন' থেকে। এটি একটি অত্যন্ত বিলাসবহুল গাড়ি। 

লিমুজিনের বডিতে একটি পার্টিশন থাকে যা ড্রাইভারকে পিছনের যাত্রীদের থেকে আলাদা করে। জার্মান-ভাষী দেশগুলোতে এই গাড়িগুলোকে সেডানও বলা হয়। আবার বিশাল লম্বা হুইলবেসসহ গাড়িগুলোকে স্ট্রেচ-লিমুজিনও বলা হয়। স্ট্রেচ-লিমুজিনগুলির কেবিনের পাশে অতিরিক্ত বসার স্থান থাকে। এগুলো সাধারণ লিমুজিনের চেয়েও অনেক দীর্ঘ হয়। এগুলো বেশিরভাগই পার্টি, বিবাহ এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়।

লিমুজিনের উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ক্যাডিলাক ওয়ান, হংকি এল৫ এর কথা।

ক্রসওভার

ক্রসওভার এবং এসইউভি-এর মধ্যে প্রায়শই বিভ্রান্তির সৃষ্ঠি হয়। এর কারণ উভয় ধরনের গাড়ির মধ্যেই রয়েছে অনেক মিল। তবে এসইউভির তুলনায় এটি বেশি আরামদায়ক এবং জ্বালানী সাশ্রয়ী। তবে পিকআপ ট্রাক-ভিত্তিক এসইউভি-এর তুলনায় এগুলোর অফ-রোডে চলার ক্ষমতা কম।

ক্রসওভারের কিছু উদাহরণ হচ্ছে, অডি কিউ৫, নিসান রোগ, ইত্যাদি।

মাইক্রোকার

'মাইক্রোকার' শব্দটি প্রায়ই ৭০০ সিসি-এর চেয়ে কম ইঞ্জিনের ছোট আকারের গাড়িগুলোর জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও বেশিরভাগ মাইক্রোকারই ডিজেল বা পেট্রোল দ্বারা চালিত। তবে বৈদ্যুতিক মাইক্রোকারগুলোও গত দশকে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

মাইক্রোকার ৩ বা ৪ চাকার হতে পারে। নির্দিষ্ট ধরনের মাইক্রোকার, যেগুলোকে জাপানে কেই কারও বলা হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোইচুরেটস, কোয়াড্রিসাইকেল, বাবল কার এবং সাইকেলকার। 

এর ভালো দিক হচ্ছে এটির আকার ছোট হওয়ার কারণে এগুলো কম যানজটের কারণ হয়। এ ছাড়া খরচের দিক দিয়েও এটি লাভজনক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রিভাই, স্মার্ট কে এর কথা। 

মাসল কার 

'মাসল কার' শব্দটির আবির্ভাব হয় ১৯৬০ এবং ৭০-এর দশকে। ড্র্যাগ রেসিংয়ের জন্য বিশেষভাবে নকশা করা, ব্যাপকভাবে উৎপাদিত বিশেষ সংস্করণের গাড়িগুলোর জন্য এই নাম উদ্ভূত হয়। এ ছাড়া  উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়ির জন্যে এটি একটি আমেরিকান পরিভাষা।

সাধারণত একটি মাসল কারে রিয়ার-হুইল ড্রাইভ, একটি শক্তিশালী কনফিগারেশনসহ একটি বড় ভি৮ ইঞ্জিন এবং একটি হালকা ২ দরজার বডি রয়েছে। স্পোর্টস এবং ব্যক্তিগত বিলাসবহুল গাড়ির তুলনায় এই ধরনের গাড়িগুলো বেশ কম দামের হয়।

কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মাসল কার হচ্ছে, ডজ চ্যালেঞ্জার, ফোর্ড মাস্ট্যাং জিটি। 

বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চেনার প্রয়োজন পড়তে পারে। আপনি হয়তো শখের বশেই গাড়ি চিনতে চান কিংবা কেনার প্রয়োজনে। কেনার জন্যে হলে আপনি যদি এমন একটি গাড়ি খুঁজে থাকেন, যা আপনার পরিবারের সব চাহিদা মেটাবে অথবা শুধু আপনার ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন। তাহলে এই বিপুল সংখ্যক বিকল্প থেকে একটি বাহন নির্বাচন করা কখনই সহজ কাজ নয়। তাই উপরের এই বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে বিবেচনা করুন আপনার সঙ্গে মানানসই কোনটি। 

তথ্যসূত্র: কার অ্যান্ড ড্রাইভার, র‌্যাঙ্ক রেড, স্টাইলস অ্যাট লাইফ
 

Comments