টেসলাকে পেছনে ফেলল চীনের বিওয়াইডি

বৈদ্যুতিক গাড়ি, ইভি, টেসলা, বিওয়াইডি, চীন,
ব্রিটেনের ফার্নবোরোতে ফুল চার্জড লাইভ ইলেকট্রিক গাড়ির ট্রেড শোতে চীনা গাড়ি নির্মাতা বিওয়াইডির তৈরি ‘অটো থ্রি’র ইলেকট্রিক এসইউভি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ২৮ এপ্রিল ২০২৩, রয়টার্স ফাইল ফটো।

ত্রৈমাসিক আয়ে প্রথমবারের মতো টেসলাকে পেছনে ফেলেছে চীনের শীর্ষস্থানীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে টেসলার চেয়ে তিন বিলিয়ন ডলার বেশি আয় করেছে বিওয়াইডি।

আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও চীনের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বরে মোট ২৮ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বিওয়াইডি, আর টেসলা আয় করেছে ২৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। তবে এই সময়ে বিওয়াইডির চেয়ে বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে টেসলা।

গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বিওয়াইডির আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে তাদের নেট মুনাফা বেড়েছে ১১ দশমিক পাঁচ শতাংশ।

বিবিসি জানায়, পেট্রোল চালিত গাড়ি ছেড়ে বৈদ্যুতিক বা হাইব্রিড গাড়ি কিনতে জনগণকে ভর্তুকি দিচ্ছে চীনা সরকার। যে কারণে চীনে এমন গাড়ির চলন বেড়েই চলেছে।

চীনের সরকারি নথি অনুযায়ী, গত সপ্তাহেও পুরনো গাড়ি বদলে নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে সরকারি ভর্তুকি নিতে ১৫ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। 

সুইস প্রতিষ্ঠান ইউবিএসের গবেষণা পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের ৬০ শতাংশ গাড়িই হবে বৈদ্যুতিক।

বিওয়াইডির মতো কোম্পানিগুলোর উত্থানের ফলে চীনে টেসলার বিক্রি অনেকদিন ধরেই কমছে।

সাংহাইয়ের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অটোমোটিভ ফোরসাইটের প্রধান ইয়েল ঝ্যাং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, 'টেসলা যদি চীনে তাদের গাড়ির দাম না কমায়, নতুন মডেল না আনে, বা সম্পূর্ণ স্বচালিত গাড়ির ফিচার চালু না করে, তাহলে এখানে তাদের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।' 

বিওয়াইডির মতো চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানিগুলোর সবচেয়ে বড় বিদেশি বাজার ইউরোপ। তবে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবৃদ্ধি থামাতে শুল্ক বাড়াচ্ছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এই শুল্কের পরিমাণ ১০০ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

US elections: Prof Yunus congratulates Trump

Recalling the existing relations between Bangladesh and the US, Yunus said Bangladesh and the US share a long history of friendship and collaboration across numerous areas of mutual interest

1h ago