চাঁদে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে জাপানের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আইস্পেস

হাকুতো-আর অভিযান। ছবি: আইস্পেসের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
হাকুতো-আর অভিযান। ছবি: আইস্পেসের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।

জাপানের বেসরকারি মহাকাশ স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান আইস্পেস চাঁদে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে।

এই উদ্যোগ সফল হলে এটাই হবে জাপানের এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণ করানোর প্রথম ঘটনা।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত মহাকাশ স্টেশন কেপ ক্যানাভেরাল থেকে স্থানীয় সময় রাত ২টা বেজে ৩৮ মিনিটে 'হাকুতো-আর' অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে। এই অভিযানে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স প্রতিষ্ঠানের ফ্যালকন ৯ মডেলের রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে।

রকেট পরিদর্শনে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় লেগে যাওয়াতে ইতোমধ্যে অভিযানের সময়কাল ২ দিন পিছিয়েছে।

গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের সরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলো চাঁদে মহাকাশ যান অবতরণ করতে সক্ষম হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের উদ্যোগে সফল হয়নি।

এই অভিযান সফল হলে তা জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ অংশীদারিত্বে নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইতোমধ্যে জাপানের ধনকুবের ইউসাকু মেইজাওয়া শুক্রবার জানিয়েছেন, তিনি ৮ জন ক্রু সদস্যকে নিয়ে স্পেস এক্স এর একটি রকেটে করে আগামী বছর চাঁদে যেতে চান। ৮ ক্রু সদস্যের নামও উন্মোচন করেন তিনি।

জাপানি লোককথা অনুযায়ী, হাকুতো হচ্ছে একটি সাদা রঙের খরগোশ, যেটি চাঁদে বসবাস করে। এশীয় দিনপঞ্জি মতে, আগামী বছরটি 'খরগোসের বছর'।

আইস্পেস প্রত্যাশা করছে, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও অসংখ্যবার এ ধরনের অভিযানের আয়োজন করা সম্ভব হবে।

আইস্পেসের মহাকাশযান ব্যবহার করে চাঁদের কক্ষপথে নাসার উপগ্রহ বসানোর লক্ষ্য রয়েছে। এই উপগ্রহের মাধ্যমে পানির উৎস খোজা হবে।

রকেটটি থেকে ২টি রবোট নিয়ন্ত্রিত রোভার গাড়ি চাঁদে নামানো হবে। জাপানের জ্যাক্সা মহাকাশ সংস্থার নির্মিত ২ চাকার, বেসবল আকৃতির একটি রোভার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নির্মিত ৪ চাকার রাশিদ এক্সপ্লোরার।

আরব আমিরাতের রাশিদ রোভার। ছবি: স্পেস এক্স
আরব আমিরাতের রাশিদ রোভার। ছবি: স্পেস এক্স

ইতোমধ্যে আইস্পেসের সঙ্গে মার্কিন সরকারি মহাকাশ সংস্থা নাসার একটি চুক্তি হয়েছে, যার মাধ্যমে ২০২৫ থেকে শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি মহাকাশে নাসার বিভিন্ন অবকাঠামোয় প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সরঞ্জাম আনা নেওয়া করবে।

আইস্পেসের মূল লক্ষ্য ২০৪০ সালের মধ্যে একটি স্থায়ী, 'চন্দ্র-উপনিবেশ' নির্মাণ করে সেখানে মানুষের থাকা-খাওয়া ও কাজের ব্যবস্থা করা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Pakistan, China launch trilateral cooperation mechanism

A working group will be formed to follow up on and implement the understandings reached during the meeting

2h ago