হুয়াওয়ের কাছে পণ্য রপ্তানি বন্ধে নতুন মার্কিন নীতিমালা

চীনের হুয়াওয়ের কাছে পণ্য রপ্তানির লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করেছে বাইডেন প্রশাসন। ফলে হুয়াওয়ের কাছে নতুন করে আর কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান পণ্য বা সেবা রপ্তানি করতে পারবে না।
২০২২ সালের বিশ্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্মেলনে হুয়াওয়ের স্টল পরিদর্শন করছেন এক দর্শক। ফাইল ছবি: রয়টার্স
২০২২ সালের বিশ্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্মেলনে হুয়াওয়ের স্টল পরিদর্শন করছেন এক দর্শক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

চীনের হুয়াওয়ের কাছে পণ্য রপ্তানির লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করেছে বাইডেন প্রশাসন। ফলে হুয়াওয়ের কাছে নতুন করে আর কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান পণ্য বা সেবা রপ্তানি করতে পারবে না।

আজ মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বেশ কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের ৫জি ও অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। তবে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে হুয়াওয়ের কাছে কিছু সুনির্দিষ্ট পণ্য ও প্রযুক্তি বিক্রির অনুমতি দিয়েছিল। ২০২০ সালে কোয়ালকম হুয়াওয়ের কাছে ৪জি স্মার্টফোনের চিপ বিক্রির অনুমোদন পায়। 

তবে আজকের উদ্যোগে এ ধরনের পণ্য রপ্তানির পথও বন্ধ হল।

হুয়াওয়ে ও কোয়ালকম এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং জানান, 'চীন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার ঢালাও অজুহাতে চীনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর দমন-নীতির বিরোধিতা করে'।

আজ মঙ্গলবার বেইজিং এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাও আরও জানান, 'এই উদ্যোগ বাজার অর্থনীতির মূলনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থায়নের নীতির বিপক্ষে যায়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আত্মবিশ্বাসের ওপর হুমকি সৃষ্টি করছে এবং এটি মার্কিন প্রযুক্তিগত আধিপত্য বিস্তারের সুস্পষ্ট প্রচেষ্টা'। 

এ বিষয়ে ভালো জানেন এমন এক সূত্র রয়টার্সকে জানান, মার্কিন কর্মকর্তারা হুয়াওয়ের কাছে পণ্য রপ্তানি ঠেকাতে একটি আনুষ্ঠানিক নীতিমালা তৈরি করছে। এ ক্ষেত্রে ৫জির পাশাপাশি পুরনো প্রযুক্তি, যেমন ৪জি, ওয়াইফাই ৬ ও ৭, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার ও ক্লাউড স্টোরেজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা ২০১৯ সালে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করেন। তখন থেকেই লাইসেন্স ছাড়া কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের কাছে পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না। বিভিন্ন উপায়ে হুয়াওয়ের সেমিকন্ডাকটর চিপ কেনা ও উৎপাদনের জন্য নকশা তৈরির সক্ষমতা কমিয়ে আনার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, হুয়াওয়ের বেশিরভাগ পণ্য সেমিকন্ডাকটর চিপের ওপর নির্ভরশীল।

ডিসেম্বরে হুয়াওয়ে জানিয়েছে, সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় ৯১ দশমিক ৫৩ ডলার। ২০২১ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব এক তৃতীয়াংশ কমে যায়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Rooppur Nuclear Power Plant: First unit to start production in Dec

One of the two units of the Rooppur Nuclear Power Plant will be commissioned this December if transmission lines are ready although the deadline for the project’s completion has been extended to 2027.

4h ago