ধনীর তালিকায় আবার শীর্ষে ইলন মাস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। ছবি: এএফপি
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। ছবি: এএফপি

গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানচ্যুত হওয়ার পর আবারও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষ স্থান ফিরে পেলেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক।

গতকাল সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। 

ফরাসি বিলাসবহুল পণ্যের ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বার্নার্ড আর্নল্ট গত বছরের শেষে ভাগে শীর্ষ স্থানটি দখল করে নেন। প্রায় ২ মাস তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকার পর সোমবার ব্লুমবার্গ জানায়, টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক আবারও তার পুরনো অবস্থান ফিরে পেয়েছেন। 

সোমবার পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষে মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৮৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। অপর দিকে আর্নল্টের সম্পদ ছিল ১৮৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কিনে নেওয়ার সময় বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন। এছাড়াও, সামগ্রিকভাবে প্রযুক্তি বাজারে মন্দা চলছিল। সব মিলিয়ে, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের দাম অনেক কমে যায়।

ইলন মাস্ক এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মুকুট ধারণ করলেও, একইসঙ্গে তিনি অপর এক খেতাবের অধিকারী--তিনিই সে ব্যক্তি, যিনি রেকর্ড পরিমাণ সম্পদ হারিয়েছেন। গত বছরের শেষের দিকে আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদ হারান। ২০২১ এর নভেম্বরে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৪০ বিলিয়ন ডলার, আর ২০২২ এর ডিসেম্বরে এসে তা দাঁড়ায় ১৩৭ বিলিয়ন ডলারে।

টুইটার নিয়ে বারবার নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হচ্ছেন মাস্ক। গতকালও ৫০ প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করে আলোচিত হয়েছেন মাস্ক। এর আগে, নভেম্বরের শুরুর দিকে খরচ কমানোর জন্য টুইটারের ৩ হাজার ৭০০ কর্মীকে চাকুরিচ্যুত করেন মাস্ক।

ইলন মাস্কের 'আমলে' এখন পর্যন্ত টুইটারের ৭০ শতাংশ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এ মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ২ হাজার মানুষ কাজ করছেন।

তবে এসব সমস্যার মাঝে ধনীদের তালিকার শীর্ষে ফিরে আসা নিঃসন্দেহে ইলন মাস্ক ও তার ভক্ত অনুসারীদের জন্য স্বস্তির বিষয়।

Comments

The Daily Star  | English

123 ‘pushed in’ from India

Border Guard Bangladesh (BGB) yesterday detained at least 123 individuals, including Rohingyas and Bangla-speaking individuals, after India pushed them into Bangladesh through Kurigram and Khagrachhari border points.

2h ago