টুইটারে পোস্ট পড়ার ওপর বিধিনিষেধ

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

টুইটার ব্যবহারকারীরা এক দিনে কতগুলো টুইট পোস্ট পড়তে পারবেন, সে বিষয়টির ওপর সাময়িকভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মূলত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে টুইটার থেকে অবাধে তথ্য আহরণ করতে না পারে, সে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই উদ্যোগ।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপি টুইটারের সত্ত্বাধিকারী ইলন মাস্কের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায়।

ভেরিফায়েড ইউজাররা দিনে ১০ হাজার টুইট ও নন-ভেরিফায়েড ইউজাররা ১ হাজার টুইট পোস্ট পড়তে পারবেন। টুইটারের বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই নন-ভেরিফায়েড।

নতুন অ্যাকাউন্টগুলোতে (নন-ভেরিফায়েড) দিনে ৫০০ টুইট পড়া যাবে।

ইলন মাস্ক শনিবার বিকেলে টুইট বার্তায় জানান, অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম টুইটার থেকে অতি মাত্রায় তথ্য টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং নানা কারসাজি করছে, যা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি এই উদ্যোগ নিচ্ছেন।

মাস্কের এ ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রে টুইটারের ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে দাঁড়ায় 'বিদায় টুইটার।'

কতদিন ধরে পোস্ট পড়ার এই বিধিনিষেধ চালু থাকবে, তা জানাননি মাস্ক।

শুক্রবার মাস্ক ঘোষণা দেন, ভবিষ্যতে অ্যাকাউন্ট ছাড়া টুইট পড়া যাবে না।

মাস্ক আরও জানান, বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান তাদের এআই মডেল নির্মাণে টুইটার থেকে তথ্য সংগ্রহ করছিল। তাদের কাছ থেকে আসা অতিরিক্ত ট্রাফিকের কারণে টুইটারের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

মাস্ক বলেন, 'কয়েকশো প্রতিষ্ঠান (হয়তো আরও বেশি) অত্যন্ত আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে টুইটার থেকে তথ্য আহরণ করছিল। এক পর্যায়ে তাদের এই কার্যক্রমে প্রকৃত ব্যবহারকারীদের টুইটার ব্যবহারে সমস্যা দেখা দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'স্টার্টআপ থেকে শুরু করে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান, যারাই এআই নিয়ে কাজ করছে, তারা সবাই বড় আকারে টুইটার থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।'

'শুধু কিছু এআই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে বড় বড় সার্ভার চালু করার কোনো মানে হয় না', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
probe committee for past elections in Bangladesh

Govt launches probe into last 3 national polls

The government has formed a committee to investigate allegations of corruption, irregularities, and criminal activities in the three national elections held in 2014, 2018, and 2024.

8h ago