চলে গেলেন চন্দ্রযান ৩ অভিযানের কাউন্টডাউনের কণ্ঠদাতা বিজ্ঞানী বালারমাথি

তামিলনাড়ু রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দা বালারনাথি। তিনি ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই রাজ্যের আরিয়ালুর অঞ্চলে জন্ম নেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারি কলেজ থেকে প্রকৌশল বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন।
ইসরোর কার্যালয়ে এন বালারনাথি। ছবি: এক্স (টুইটার)
ইসরোর কার্যালয়ে এন বালারনাথি। ছবি: এক্স (টুইটার)

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) বিজ্ঞানী এন বালারমাথি মারা গেছেন। চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের সময় ১০ থেকে শূন্য পর্যন্ত কাউন্টডাউন তার কণ্ঠেই শোনা গেছিল। 

আজ সোমবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের এই সম্মানিত বিজ্ঞানী শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

সাবেক ইসরো পরিচালক ড. পি ভি ভেঙ্কিতাক্রিষ্ণান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, 'ভারতের আর কোনো মহাকাশ অভিযানের কাউন্টডাউনে বালারমাথি ম্যাডামের কণ্ঠ শোনা যাবে না। চন্দ্রযান ৩ ছিল তার শেষ কাউন্টডাউন ঘোষণা। তার মৃত্যু অপ্রত্যাশিত। আমি খুবই মর্মাহত। প্রণাম!'

তামিলনাড়ু রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দা বালারনাথি। তিনি ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই রাজ্যের আরিয়ালুর অঞ্চলে জন্ম নেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারি কলেজ থেকে প্রকৌশল বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন।

এই বিজ্ঞানী ১৯৮৪ সালে ইসরোতে যোগ দেন এবং বেশ কিছু অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি ভারতের প্রথম নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রাডার ইমেজিং স্যাটেলাইট (আরআইএস) রিস্যাট-১ এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। ভারতের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রকল্পেও তিনি একই ভূমিকা পালন করেন।

২০১৫ সালে তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে 'আব্দুল কালাম পুরষ্কার জেতেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামকে সম্মান জানাতে এই পুরষ্কার প্রবর্তন করে রাজ্য সরকার।

এন বালারমাথির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং অনেকেই ইসরোর এই বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন।

একজন বলেন, 'আমি বালারমাথি ম্যাডামের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে খুবই দুঃখিত। তিনি অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। প্রতিটি উৎক্ষেপণের সময় আমরা তার কণ্ঠস্বর মিস করব। ওম শান্তি'।

আরেকজন মন্তব্য করেন, 'আমি খেয়াল করলাম, আদিত্য এল-১ (সৌরযান) উৎক্ষেপণের সময় তার কণ্ঠ শোনা যায়নি। আমি ভেবেছিলাম তিনি অফিসে নেই বা অন্য কিছু হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি ছিল অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। আমি তাকে মিস করব।'

অপর এক ব্যক্তি লেখেন, 'তার কণ্ঠের মাধ্যমেই ভারতের অসামান্য ও ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযানের শুরু হয়। তাকে আমরা ভারতের সব মহাকাশ সংক্রান্ত অর্জনের সময় স্মরণ করবো।'

Comments