আইফোন ১৪ সিরিজে যা কিছু নতুন

বরাবরের মতো চমক ধরে রেখেই বহুল প্রতীক্ষিত আইফোন ১৪ সিরিজ দিয়ে বিশ্বব্যাপী আইফোনপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে অ্যাপল ইন-করপোরেশন। ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সদরদপ্তরের অ্যাপল পার্কের ‘ফার আউট’ অনুষ্ঠানে যাত্রা শুরু হয়েছে চলতি বছরের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত মোবাইল ফোনের। 
ছবি: সংগৃহীত

বরাবরের মতো চমক ধরে রেখেই বহুল প্রতীক্ষিত আইফোন ১৪ সিরিজ দিয়ে বিশ্বব্যাপী আইফোনপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে অ্যাপল ইন-করপোরেশন। ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সদরদপ্তরের অ্যাপল পার্কের 'ফার আউট' অনুষ্ঠানে যাত্রা শুরু হয়েছে চলতি বছরের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত মোবাইল ফোনের। 

ডায়নামিক আইল্যান্ড, অলওয়েজ অন ডিসপ্লে সুবিধা, ৪৮ মেগা পিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা, স্মার্টফোনের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুতগতির এ১৬ বায়োনিক চিপ, নজিরহীন সুরক্ষা ব্যবস্থা, স্যাটেলাইট সংযোগ, দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফসহ দুর্দান্ত সব অভিনব ফিচার ও আধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা আইফোন ১৪ প্রো লাইন আপ। 

আইফোন ১৪ প্রো ও প্রো ম্যাক্সকে সর্বকালের সবচেয়ে অভিনব প্রো লাইন-আপ হিসেবে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রধান টিম কুক। দামের ক্ষেত্রে ব্যাপক গুঞ্জন সত্বেও চলমান আর্থিক সংকট ও দুর্মূল্যের বাজার ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখেই প্রতিষ্ঠানটি সিরিজটির মূল্য নির্ধারণ করেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাজারমূল্যের এই কোম্পানিটির মুনাফার অর্ধেক আসে আইফোন থেকে। প্রি অর্ডার শুরু হবে আগামী ৯ তারিখ এবং গ্রাহকের হাতে পৌঁছোতে অপেক্ষা করতে হবে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ঘোষণা মাত্রই নিউ ইয়র্কের বাজারে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে অ্যাপলের সবচেয়ে আধুনিক এই ফ্লাগশিপ ফোন।

ছবি: ব্লুমবার্গ

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী চরম আর্থিক টালমাটালে বছরজুড়ে ১২ শতাংশ দরপতন ছিল অ্যাপলের। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মুক্তির ঘোষণা-মাত্রই বিগ আপেলের শেয়ার বাজারের ঋণাত্মক অবস্থা থেকে এক লাফে উতরে গিয়ে আরও ১ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ফলে, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন লেখাকালীন অ্যাপলের শেয়ার প্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৫৫ দশমিক ৯৬ ডলারে। 

৬ দশমিক ১ ইঞ্চির বেসিক ও ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চির প্রো মডেলের এই সিরিজটি পাওয়া যাবে ৫টি দারুণ রঙে। বেসিক মডেলের ক্ষেত্রে কিছু অংশে আইফোন ১৩ সিরিজের সঙ্গে মিল পাওয়া গেলেও এই ফোনগুলোতেও যুক্ত হয়েছে দারুণ সব নতুন প্রযুক্তি। গুঞ্জন সত্যি করেই লাইনআপ থেকে ছিটকে পড়েছে আইফোন ১৩ মিনি। অ্যাপলের এই ফ্লাগশিপ পণ্যে বিভিন্ন ফিচার নিয়েই আজকের আলোচনা।

ক্যামেরা

প্রতিপক্ষ বিভিন্ন ব্র্যান্ড যখন ১০৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার প্রচলন ঘটিয়েছে, অ্যাপল তখনও ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিয়েই মুক্তি দিয়েছিল আইফোন ১৩ সিরিজ। তবে, নিজেদের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইতিহাস সৃষ্টির মাধ্যমেই আইফোন ১৪ সিরিজে যুক্ত হয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের গভীর সংযোগের মাধ্যমে ক্যামেরার বেশ কিছু আধুনিকায়ন করেছে অ্যাপল। যা শৌখিন ফটোগ্রাফার থেকে শুরু করে পেশাদার ফটোগ্রাফারদের জন্যেও দারুণ কার্যকরী। ফটোনিক ইঞ্জিনের সঙ্গে কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফিকের সম্মিলনে ছবি তোলার অভিজ্ঞতা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এই ফোন। 

অ্যাপলের মূল ক্যামেরার পরিচিত ট্রিপল সেটাপে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড সেন্সর লেন্সের পাশাপাশি থাকছে একটি ১২ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড লেন্স এবং ৩ গুণ অপটিক্যাল জুম সক্ষম ১২ মেগাপিক্সেলের আরেকটি টেলিফটো লেন্স। 

ছবি: অ্যাপল

কোয়াড টোন, ৫এক্স ডিজিটাল জুম, ডিপ ফিউশনের পাশাপাশি স্মার্ট এন্ড টু এন্ড ডলবি ভার্সন এইচডিআর, স্মার্ট এইচডিআর৪, প্রো রেস৩, প্রো 'র'  এবং ২৪ এফপিএস (ফ্রেম পার সেকেন্ড) ও ৩০ এফপিএস সক্ষম ফোরকে প্রযুক্তি ডিভাইসটির সিনেমাটিক মোডকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। ভিডিওগ্রাফারদের জন্যে দারুণ সুসংবাদ হচ্ছে, আলট্রা স্ট্যাবিলাইজেশন ও নতুন অ্যাকশন মোড ফিচার।

সেলফি ক্যামেরাতেও দারুণ উন্নতি ঘটানো হয়েছে। ১২ মেগাপিক্সেলের লেন্সের পাশাপাশি ফোরকে ভিডিও ফিচার এবং প্রথমবারের মতো সেলফি ক্যামেরায় অটো-ফোকাস সুবিধা যুক্ত করেছে অ্যাপল। 

ডিসপ্লে

নতুন এই সিরিজের প্রো মডেলগুলোর ডিসপ্লেতে বেশ বড়সড় পরিবর্তন এনেছে। ১৪ প্রো ও ১৪ প্রো ম্যাক্সে সার্জিকাল গ্রেডের স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে, যা ডিভাইসটির ডিসপ্লেকে আরও মজবুত করতে ভূমিকা রেখেছে। এর পাশাপাশি, স্মার্টফোন গ্লাসের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী কভারটি তৈরি হয়েছে সিরামিক শিল্ডের মাধ্যমে। যা এই ফোনটিকে সাধারণ দুর্ঘটনা, পানি, ও ধুলাবালি থেকে রক্ষা করবে। 

সংগৃহীত

উভয় মডেলে নতুন সুপার রেটিনা এক্সডিআর, প্রো মোশন সুবিধা, একদম নতুন ১ হার্জ রিফ্রেশ রেট ও বেশ কিছু প্রযুক্তির সংযোগ ও উন্নয়নের ফলে এই সিরিজের অন্যতম 'অলওয়েজ অন ডিসপ্লে' সুবিধাটি নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

অলওয়েজ অন ডিসপ্লে এমন এক ফিচার যা ডিভাইসের স্লিপিং ও ইনঅ্যাক্টিভ অবস্থাতেও সময়, তারিখ, ক্যালেন্ডার, রিমাইন্ডারসহ বেশ কিছু তথ্যের একটা ক্ষুদ্র অংশ স্ক্রিনে তুলে ধরবে। আবার কিছুক্ষণ স্পর্শহীন অবস্থায় রেখে দিলে ধীরে ধীরে ব্রাইটনেস কমিয়ে নিজ থেকেই স্লিপ মোডে চলে যাবে। 

এই প্রযুক্তি আইফোনের জন্যে একদম নতুন হলেও স্মার্টওয়াচ ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের কাছে এটা বেশ পুরনো প্রযুক্তি। এ ছাড়া আইফোন ১৪ প্রোতে থাকছে ২ হাজার নিট সুবিধা, যা ব্যবহারকারীকে আইফোন ১৩ প্রো'র থেকে প্রায় দ্বিগুণ ব্রাইটনেস সুবিধা প্রদান করবে।  

ডাইনামিক আইল্যান্ড

আইফোন ১৪-এর অন্যতম আকর্ষণ ডাইনামিক আইল্যান্ড। এটা আইফোনের সঙ্গে ব্যবহারকারীকে ইন্টারঅ্যাক্ট করার নতুন এক উপায়, যা নিশ্চিত করা হয়েছে হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যারের মিশ্রণে। সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আইফোনের বহুল বিতর্কিত নচ পদ্ধতির পরিবর্তে একটি ট্রু ডেপথ ক্যামেরা বসিয়ে সাজানো হয়েছে ডাইনামিক আইল্যান্ড ফিচারটি।

ডিসপ্লের একদম ওপরে পিল শেপ আকারের নতুন এই ইন্টারফেসে চাপ দিয়ে ছোটবড় করা যায়। যেখানে বিভিন্ন নোটিফিকেশন, রিমাইন্ডারসহ দৈনন্দিন জীবনের অনেককিছু ভেসে উঠবে। আরও সহজ করে বললে, এই প্রযুক্তির সাহায্যে একজন গ্রাহক তার বিদ্যমান কাজে ব্যাঘাত না ঘটিয়েই যেকোনো নোটিফিকেশন বা রিমাইন্ডার দেখতে পারবে। যেমন: একজন ব্যবহারকারী গান শোনা, ভিডিও দেখা বা গেইম খেলাকালীন ফুডপান্ডা বা পাঠাও কিংবা ক্রিক-ইনফোর লাইভ স্কোর দেখতে পারবে। 

সাধারণত, এসব দেখার জন্যে ব্যবহারকারীকে চলমান কাজ বাদ বা স্ক্রিন মিনিমাইজ করতে হতো। ডাইনামিক আইল্যান্ডের সুবিধার ফলে চলমান কাজে বিন্দুমাত্র ব্যাঘাত না ঘটিয়েই ইন্ট্যারাক্ট করা যাবে। হোমে যেতে চাইলে চলমান উইজেটটি সচল অবস্থায় ছোট হয়ে ডাইনামিক আইল্যান্ডে চলে যাবে। 

প্রসেসর

আইফোন ১৪-এর বেসিক মডেলে আইফোন ১৩ প্রো'র মতো এ১৫ বায়োনিক চিপ ব্যবহার করা হলেও প্রো মডেলে দুর্দান্ত ও অভিনব প্রযুক্তির এ১৬ বায়োনিক চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাপলের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন এই এ১৬ বায়োনিক চিপ স্মার্টফোন দুনিয়ার সব ফোনের থেকে অন্তত ৪০ শতাংশ বেশি দ্রুতগতি সম্পন্ন। 

অ্যাপল তথ্যসূত্রে, অত্যাধুনিক এই চিপটি তৈরি করা হয়েছে ৪ ন্যানোমিটার প্রক্রিয়ায়। যাতে আছে ১৬ বিলিয়ন ট্রানজিস্টার। এ ছাড়া রয়েছে ৬টি উচ্চ-কর্মক্ষমতা এবং দুটি দক্ষতার কোর, একটি ৫-কোর জিপিইউ এবং একটি ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিন। ফিউশন আর্কিটেকচার ব্যবহার করে নির্মিত এই চিপ প্রতি সেকেন্ডে ১৭  ট্রিলিয়ন কাজ করতে সক্ষম।

এই চিপের ফলে আইফোন ১৪ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স মডেল দুটির অবিশ্বাস্য কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফি সুবিধাকে কার্যকর করেছে। সিপিইউ, জিপিইউ, নিউরাল ইঞ্জিন এবং ইমেজ সিগন্যাল প্রসেসর নতুন ক্যামেরা হার্ডওয়্যারকে প্রতি ফটোতে ৪ ট্রিলিয়ন পর্যন্ত অপারেশন সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। 

ডাইনামিক আইল্যান্ড, কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফি, মোশন গ্রাফিক্স, এবং অলওয়েজ অন ডিসপ্লে সুবিধা নিশ্চিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে এই এ১৬ বায়োনিক চিপ। প্রো মডেলের ফোনে এই চিপ ব্যবহারের ফলে প্রতিপক্ষ ব্র্যান্ডের তুলনায় বহুলাংশে এগিয়ে থাকার দাবি অ্যাপলের। এত সব দুর্দান্ত ও ভারী কাজের পরেও সবচেয়ে দ্রুতগতির সুবিধা নিশ্চিতের পেছনের মূল ভূমিকায় আছে এই চিপ। 

স্যাটেলাইট সংযোগ

যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অবকাঠামোগত বিপর্যয়সহ নানা কারণে বিদ্যমান নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কিংবা বিদ্যুতের অভাবেও কোনো স্থানের নেটওয়ার্ক অচল থাকতে পারে। এমন অবস্থায় যোগাযোগ করা অসম্ভব। কেবল, স্যাটেলাইট সংযোগ পারে এমন জরুরি অবস্থায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে। স্মার্টফোনে স্যাটেলাইট সংযোগ স্থাপন নিয়ে বহুদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল টেলিকম ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। 

সম্প্রতি, স্পেসেক্স প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক এই সুবিধা নিশ্চিতে বেশ জোরেশোরেই চেষ্টা চালাচ্ছিল। এ ছাড়া, দুবাই, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করেছে। সবাইকে ছাড়িয়ে আইফোন-১৪ সিরিজের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে স্যাটেলাইট সংযোগ সুবিধাটি চমক সৃষ্টি করেছে।

'ফার আউট' অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইট সংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এই ফিচারের অংশীদার হিসেবে আছে মার্কিন স্যাটেলাইট যোগাযোগ কোম্পানি গ্লোবস্টার। সিএনবিসির তথ্যমতে, জরুরি অবস্থায় নেটওয়ার্কহীন একটি এলাকায় বার্তা পাঠাতে স্যাটেলাইটের সঙ্গে আইফোন ১৪'র এন্টেনাকে সরাসরি যুক্ত করে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে ফিচারটি। 

অ্যাপলের স্যাটেলাইট মডেলিং এবং সিমুলেশনের ব্যবস্থাপক অ্যাশলে উইলিয়ামস বলেন, 'ফোনের একটি অ্যালগরিদম টেক্সট বার্তাগুলোকে এমনভাবে সংকুচিত করবে যা একটি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারীর কাছে পাঠাতে সময় লাগবে ১৫ সেকেন্ডেরও কম।'

গ্লোবস্টার জানায়, আইফোন ১৪-এর বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নেটওয়ার্ক সুবিধার ৮৫ শতাংশ জরুরি স্যাটেলাইট সেবায় বরাদ্দ করবে তারা।  

অন্যান্য

উপরোক্ত সুবিধাগুলো ছাড়াও আইফোন ১৪ সিরিজে আরও অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। যার মধ্যে অন্যতম একটি ফিচার হচ্ছে কার ক্রাশ ডিটেকশন। এই ফিচারের আওতায় গুরুতর দুর্ঘটনা চিহ্নিত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইফোন ১৪ জরুরি সুরক্ষা সেবার নাম্বারে ডায়াল করবে। 

এ ছাড়া শক্তিশালী ফাইভ জি নেটওয়ার্ক, ফিটনেস ফিচার, টাচের মাধ্যমে ভলিউম নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘকালীন ব্যাটারি সুবিধা, ২০ ওয়াটের ফার্স্ট চার্জিং ব্যবস্থা অন্যতম। আইফোন ১৪ সিরিজে আরও থাকছে আইপি০৬৮ জল নিরোধক ব্যবস্থা। অর্থাৎ, ফোনটি স্বচ্ছ পানিতে ৩০ মিনিট নিমজ্জিত থাকলেও স্থায়ী ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

এই সিরিজের স্টোরেজ ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এক্সটার্নাল কোনো কার্ড ব্যবহারের সুযোগ নেই। ইন্টারনাল স্টোরেজ ১২৮ জিবি থেকে শুরু করে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া, ই-সিম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে একাধিক নম্বর ব্যবহার করা যাবে।

গতানুগতিক ধারা উপেক্ষা ও বিশ্লেষকদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অ্যাপল তার আইফোন ১৪ সিরিজের ফোনগুলো দাম বাড়ায়নি। বেশ দীর্ঘ সময় পরে অত্যাধুনিক ও যুগান্তকারী সব প্রযুক্তি ও ফিচারের সমন্বয় ঘটানোর পরও ১৩ সিরিজের সমান দাম রেখেছে। এই উদ্যোগের ফলে মন্দার বাজারে বিলাসবহুল পণ্যটি রেকর্ড গড়ার তালিকায় কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকবে।

দাম

আইফোন ১৪ এর দাম ৭৯৯ ডলার, আইফোন ১৪ প্লাস ৮৯৯ ডলার, আইফোন প্রো এর দাম ৯৯৯ ডলার এবং প্রো ম্যাক্সের দাম ১ হাজার ৯৯ ডলার থেকে শুরু হয়েছে। কনফিগারেশন অনুযায়ী এই দাম ওঠানামা করবে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও একই সঙ্গে আইফোন ১৪ মুক্তি পায়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তথ্যসূত্রে, আইফোন ১৪ সিরিজের ডিভাইসগুলোর দাম শুরু হবে যথাক্রমে ৭৯ হাজার ৯০০, ৮৯ হাজার ৯০০, ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০০, এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ রুপি থেকে।

তথ্যসূত্র: অ্যাপল, সিএনবিসি, সিএনএন, সিনেট, ব্লুমবার্গ, দ্য ভার্জ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

Comments