বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গেজেটস

নেটফ্লিক্সে যতগুলো ভিডিও ডাউনলোড করা যায়

বর্তমানে ভিডিও স্ট্রিমিং জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো নেটফ্লিক্স। অনলাইনে চমৎকার সব চলচ্চিত্র, টিভি শো, ওয়েব সিরিজ দেখার সুবিধার পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে ডাউনলোড ফিচার চালু করেছে নেটফ্লিক্স। যার মাধ্যমে অফলাইনেও সেগুলো উপভোগ করতে পারে গ্রাহক। তবে, এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হয় ডাউনলোড করার নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতার কথা।  
ছবি: ফিক্সিক্যাম

বর্তমানে ভিডিও স্ট্রিমিং জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো নেটফ্লিক্স। অনলাইনে চমৎকার সব চলচ্চিত্র, টিভি শো, ওয়েব সিরিজ দেখার সুবিধার পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে ডাউনলোড ফিচার চালু করেছে নেটফ্লিক্স। যার মাধ্যমে অফলাইনেও সেগুলো উপভোগ করতে পারে গ্রাহক। তবে, এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হয় ডাউনলোড করার নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতার কথা।  

নেটফ্লিক্স হেল্প সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, একজন গ্রাহক একটি ডিভাইসে ১০০টি ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবে। তবে, এই সংখ্যা ডিভাইসের ধারণক্ষমতার ওপরও নির্ভর করবে। 

কেন না ডাউনলোড করা ভিডিও ডিভাইস থেকে ডিলিট না করা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ স্টোরেজে জমা থাকে। তাই নির্দিষ্ট সংখ্যা পূরণ না হলেও জায়গা না থাকায় ভিডিও ডাউনলোডে এরর কোড প্রদর্শিত হয়।  

তবে, ভিডিও ডাউনলোড করার সময়ের উপরও সীমা বেধে দিয়েছে নেটফ্লিক্স। যার ফলে লাইসেন্স চুক্তির ওপর ভিত্তি করে অফলাইনে ভিডিও দেখার সময় নির্ধারণ করা হয়। 

সাধারণত ডাউনলোড করা ভিডিওর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৭ দিন আগে নোটিফিকেশন বার্তা দেয় নেটফ্লিক্স। তবে, কোনো ভিডিওর প্লে বাটনে ক্লিক করার পর ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড পেজ থেকে ডিলিট হয়ে যায়।  

এ ছাড়া স্টুডিও সীমাবদ্ধতার জন্য নেটফ্লিক্সের সব ধরনের ভিডিও ডাউনলোডের অনুমতি পাওয়া যায় না। আবার এক বছরে একজন গ্রাহক কোনো ভিডিও নির্দিষ্ট সংখ্যক বার ডাউনলোড করলে পরবর্তী সময়ে ডাউনলোডের অনুমতি দেয় না নেটফ্লিক্স। 

নেটফ্লিক্স ডিভাইসের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ডাউনলোডের বিভিন্ন প্ল্যানের সুবিধা রেখেছে। যার মধ্যে একটি ডিভাইসের জন্য বেসিক প্ল্যানে খরচ পড়ে প্রতি মাসে প্রায় ১০ মার্কিন ডলার। দুটি ডিভাইসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড প্ল্যানে খরচ হয় প্রতি মাসে ১৫ দশমিক ৪৯ মার্কিন ডলার। আর প্রিমিয়াম প্ল্যানে ৪টি ডিভাইসের ডাউনলোডের জন্য খরচ করতে হবে মাসে প্রায় ২০ মার্কিন ডলার। 

এখন প্রশ্ন করতে পারেন, যে সেবার জন্য আপনি অর্থ ব্যয় করছেন, তাহলে ওই প্লাটফর্মের কনটেন্ট ডাউনলোডের জন্য ইতোমধ্যে সাবস্ক্রাইব করার পরও এত বিধিনিষেধ আরোপ করার যৌক্তিকতা কতটুকু? 

এর কারণ খুঁজতে গেলে দেখা যায়, সাম্প্রতিকালে নেটফ্লিক্স অরিজিনাল কনটেন্টের ওপর প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। এটি বর্তমানে লাইসেন্স করা কনটেন্ট নির্মাতাদের এক বিশাল কনটেন্ট সম্ভার।

আর নেটফ্লিক্সের ডাউনলোডের মেয়াদ নিয়ন্ত্রণ করে এই কনটেন্ট নির্মাতারা, নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ নয়। যার কারণে কোনো ভিডিওর মেয়াদ থাকে বেশি, কোনোটির থাকে কম। 

এ ছাড়া কোনো ভিডিওর মেয়াদ কয়দিন রয়েছে সে সম্পর্কেও সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। এমনকি মেয়াদের মধ্যে কোনো ভিডিও না দেখলেও সেটি মোট ডাউনলোড সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে, নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ শুধু ৯৯টি ভিডিও ডাউনলোড করার পরই গ্রাহকের নিকট নোটিফিকেশন বার্তা পাঠায়।

যেহেতু নেটফ্লিক্স সচরাচর কোনো নোটিফিকেশন দেয় না, তাই ডাউনলোড করার সময় এরর কোড না পাওয়া পর্যন্ত থ্রেশহোল্ড অতিক্রমের বিষয়টি বোঝা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে নিন্মোক্ত এরর কোড বেশি দেখা যায়-   

নেটফ্লিক্স এরর কোড ১০০১৬-২২০০৫

নেটফ্লিক্স যেহেতু একটি ডিভাইসে ১০০টির বেশি ভিডিও ডাউনলোড করার অনুমতি দেয় না, ডিভাইসে এই সংখ্যা পূর্ণ হওয়ার পর নতুন ভিডিও ডাউনলোড করার সময় নেটফ্লিক্স অ্যাপ এই এরর কোড দেখায়। এ ক্ষেত্রে পুরোনো ভিডিও ডাউনলোড করতে হয়। 

নেটফ্লিক্স এরর কোড ১০০১৬-২২০০৭

কোনো ভিডিও কয়েকবার ডাউনলোড করার পর আবার ডাউনলোড করতে গেলে নেটফ্লিক্স এই এরর কোড দেখায়। কারণ কনটেন্ট নির্মাতার নেটফ্লিক্স প্লাটফর্মের লাইসেন্স চুক্তির ওপর নির্ভর করে এই সংখ্যা নির্ধারিত হয়। তাই কোনো ভিডিও ডাউনলোড করার সময় এরকম হলে অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। 

নেটফ্লিক্স এরর কোড ১০০১৬-২৩০০০

নেটফ্লিক্সের প্ল্যান অনুযায়ী এক থেকে ৪টি ডিভাইসে ডাউনলোড করার সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু তার অধিক ডিভাইসে যদি গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে ভিডিও ডাউনলোড করা হয় তাহলে এই এরর কোড দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে নতুন কোনো ডিভাইসে ডাউনলোডের অনুমতির জন্য পূর্বের ডিভাইস থেকে সব ভিডিও ফোল্ডার ডিলিট করতে হবে অথবা প্ল্যান আপডেট করে ডিভাইস সীমা বাড়িয়ে নিতে হবে। 

তবে, ডাউনলোডের ঝামেলায় যেতে না চাইলে ব্যবহার করা যেতে পারে নেটফ্লিএক্স স্মার্ট ডাউনলোড ফিচার। যার মাধ্যমে কোনো টিভি শো-এর একটি এপিসোড দেখে ডিলিট করার পর ওয়াইফাই মোডে ডাউনলোড অপশন সিলেক্ট করা থাকলে পরবর্তী এপিসোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইসে ডাউনলোড হয়ে যাবে। 

বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে টিভি-শো দেখার জন্য এই ফিচার ব্যবহার করা যাবে। এজন্য ডাউনলোড ট্যাবে নেভিগেট করলে স্মার্ট ডাউনলোড চালু করা যাবে।  

 

তথ্যসূত্র: দ্য বিঞ্জফুল, মেইক ইউজ অব

গ্রন্থনা: আসরিফা সুলতানা রিয়া 
 

Comments