প্রযুক্তির ১৬টি স্মার্ট ব্যবহার জীবনকে করবে সহজ

প্রযুক্তির ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের শর্টকাট বা ছোটখাটো কিছু হ্যাকস যেমন আপনার সময় বাঁচাতে পারে, তেমনি বাড়াতে পারে কর্মদক্ষতাও। 
পাসওয়ার্ড ছাড়া কিউআর কোডের মাধ্যমে অতিথিদের দেওয়া যায় ওয়াইফাই অ্যাক্সেস। ছবি: কিউআরকোড-টাইগার.কম

প্রযুক্তির ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের শর্টকাট বা ছোটখাটো কিছু হ্যাকস যেমন আপনার সময় বাঁচাতে পারে, তেমনি বাড়াতে পারে কর্মদক্ষতাও। 

বর্তমানে আমাদের জীনের অধিকাংশ কাজ চলে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে। তাই সঠিক উপায়ে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার আপনার জীবনকে করে তুলতে পারে আরও সহজ।

আপনার প্রাত্যাহিক জীবন সহজ করে তুলতে দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন কাজ শেষ করতে সহায়ক কিছু প্রযুক্তি নিয়ে আজকের আলোচনা-

পাসওয়ার্ড ছাড়া কিউআর কোডের মাধ্যমে অতিথিদের ওয়াইফাই অ্যাক্সেস দিন 

আপনি কি প্রতিবার অতিথি বা অন্য কাউকে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর বারবার সেটি পরিবর্তন করতে করতে বিরক্ত? তাহলে, এই স্মার্ট সমাধানটি আপনার জন্য। 

'কিউআইএফআই.অর্গ' (qifi.org) এই ওয়েবসাইটটি আপনাকে পাসওয়ার্ড না দিয়ে আপনার ওয়াইফাই অ্যাক্সেসের জন্য একটি কিউআর কোড তৈরি করে দেয়। 

আপনার নেটওয়ার্কের নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার কিউআর কোডটি তৈরি করে নিতে পারেন। কিউআর কোডটি প্রিন্ট আউট করে নিলে, অন্যরা চাইলে সহজেই সেটি স্ক্যান করে আপনার ওয়াইফাই অ্যাক্সেস নিতে পারবে। 

ছবি: সংগৃহীত

ব্যবহার করুন নিরাপদ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার

আপনাকে আর পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া এবং অ্যাকাউন্ট থেকে লগ-আউট হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনার সবগুলো পাসওয়ার্ড মনে রাখার পরিবর্তে, আপনাকে শুধু একটি পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে।

এ ক্ষেত্রে আপনি, '১পাসওয়ার্ড' (1password.com) এবং 'লাস্টপাস.কম' (lastpass.com) নামের অনলাইন পাসওয়ার্ড ম্যানেজারগুলো ব্যাবহার করতে পারেন।

'বিটওয়ার্ডেন.কম' (bitwarden.com) ফ্রি পাসওয়ার্ড ম্যানেজারগুলোর মধ্যে বেশ ভালো। এগুলো আপনার ব্রাউজারের সঙ্গে যুক্ত করে নিলে আপনি ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলোতে নির্বিঘ্নে লগ-ইন করতে পারবেন, যা আপনার সময় বাঁচাবে।

অনলাইনে বিভিন্ন আর্টিকেলের সারাংশ পেতে

অনলাইনে দ্রুত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেলের সারাংশ পেতে, 'টিএলডিআর দিস' https://tldrthis.com নামে ক্রোম এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন।

এই প্লাগইনটি আপনাকে আপনার নির্বাচিত অনলাইন আর্টিকেলের একটি সারাংশ দেখাবে। যাতে আপনি পুরো জিনিসটির একটি সারাংশ বুঝে নিতে পারেন অল্প সময়েই অথবা পুরো লেখাটা পড়তে চান কি না তা ঠিক করতে পারেন।  

বড় আর্টিকেলগুলো গুগল ট্রান্সলেটের মাধ্যমে প্রুফরিড করুন

আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী বা কন্টেন্ট রাইটার হন এবং আপনার কাজের প্রুফরিড করার জন্য কাউকে খুঁজে না পান, তাহলে গুগল হতে পারে আপনার বন্ধু। লিখতে গিয়ে দীর্ঘ সময় লেগে গেলে, অনেক সময় কাজের ত্রুটি ধরা কঠিন হয়ে যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে আপনি আপনার চোখের পরিবর্তে আপনার কান ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, গুগল ট্রান্সলেটে আপনার লেখাটি কপি করে পেস্ট করুন এবং লিসেন আইকনে ক্লিক করুন। এটি আপনাকে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ে শোনাবে। 

ছবি: সংগৃহীত

ই-বুক না কিনে ধার করুন

ই-বুকের সবচেয়ে ভালো দিকটি হলো আপনি কোথাও বই নিতে ভুলে যাবেন না। কারণ এগুলো সবসময় আপনার ডিভাইসের মধ্যেই থাকবে। আপনার যদি ডিভাইসে একটি ই-বুক সংগ্রহশালা তৈরির ইচ্ছা না থাকে, তবে এগুলো কেনার পরিবর্তে ধার নিয়ে পড়ার কথা বিবেচনা করুন। 

'ওভারড্রাইভ.কম' (overdrive.com) নামে প্ল্যাটফর্মটি আপনাকে আপনার পছন্দের বই ধার করতে এবং আপনার কাছের লাইব্রেরি খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য 'সোরাঅ্যাপ.কম' (soraapp.com) এবং সবার জন্য 'লিবিঅ্যাপ.কম' (libbyapp.com)-এর মতো বিশেষ অ্যাপও রয়েছে। আপনি যদি কোনো প্রজেক্টের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বই ধার করতে চান কিংবা কেবল একবার পড়ার জন্য নিতে চান, তাহলে আপনি আপনার মোবাইল ডিভাইসে এই অ্যাপগুলো ডাউনলোড করে শুরু করে দিতে পারেন। 

আর যেহেতু এটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, তাই আপনার সবগুলো বই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত তারিখে ফিরে যাবে। আপনাকে কখনোই লেট ফি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আর আপনার যদি পড়া শেষ না হয়, আপনি সবসময়ই তা আবার পুনরায় নিতে পারবেন। 

পাওয়ার পয়েন্টে সরাসরি প্রেজেন্টেশন

ধরুন আপনার একটি প্রেজেন্টেশন আছে এবং আপনাকে তা খুব কম সময়ের মধ্যে উপস্থাপন করতে হবে। তখন ফাইলটি পাওয়ার পয়েন্টে খুলে স্লাইড-শো খুঁজে বের করে শুরু করা বেশ ঝামেলার মনে হতে পারে। সেক্ষেত্রে, আপনি যদি আপনার পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ফাইল .পিপিটি-এর পরিবর্তে .পিপিএস-দিয়ে সেভ করেন, তাহলে আপনার ফাইলটি খুললে সরাসরি তা স্লাইডশো মোডে চলে যাবে। এতে করে আপনার ঝামেলা অনেকাংশেই কমে যাবে।

ছবি: সংগৃহীত

সময় বাঁচাতে ভয়েস টাইপিং

যদি আপনার হাতে সময় কম থাকে বা কোনো কারণে টাইপ করা কঠিন হয়, তাহলে ভয়েস টাইপিং ফিচারটি ব্যবহার করুন। এটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং গুগল ডক্স-এ ব্যবহার করা যায়। ওয়ার্ডে এই ফিচারটি চালু করতে, হোম মেনু থেকে 'ডিকটেশন' অপশনটি নির্বাচন করুন বা 'ডিকটেশন' টুলবার খুঁজে পেতে উইন্ডোজ কি '+এইচ' চাপুন। সেখান থেকে আপনি স্পিকারে ক্লিক করে, ভয়েস টাইপিং করতে পারেন। যেকোনো বিরাম চিহ্ন লেখার জন্য তা স্পষ্টভাবে বলুন। গুগল ডক্সেও একইভাবে কাজ করতে পারেন। টুলস মেনুতে গিয়ে ভয়েস টাইপিং অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর শুধু মাইকে ক্লিক করে আপনার কাজ চালিয়ে যান।

বড় লিংক ছোটো করা 

অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের কোনো লিংক শেয়ার বা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে লিংকটি যদি অনেক লম্বা হয় তাহলে দেখতেও খারাপ দেখায় এবং ব্যবহারেও ঝামেলা মনে হয়। 

তাই, টিনিইউআরএল.কম (TinyURL.com); কাটলি (Cuttly) ও টেক্সটএক্সপান্ডার বিট.এলওয়াই স্ক্রিপ্টের সাহায্যে আপনি একদম সহজেই তাৎক্ষণিকভাবেই যেকোনো ইউআরএল ছোট করে নিতে পারেন।

গুগল সার্চে হয়ে উঠুন আরও বেশি পারদর্শী 

ধরুন আপনি কোনো গবেষণার কাজ করছেন এবং কিছু ওয়েব ফলাফল ফিল্টার করতে চান, তাহলে একটি বিয়োগ চিহ্ন ব্যবহার করুন। আপনি অনুসন্ধান ফলাফল থেকে যে শব্দটি বাদ দিতে চান তার ঠিক সামনে চিহ্নটি দিতে হবে।

যেমন- আপনি যখন 'টাইম ম্যানেজমেন্ট' শব্দটি অনুসন্ধান করেন, আপনার ফলাফলে উইকিপিডিয়া শীর্ষে থাকতে পারে।

কিন্তু, আপনি যদি 'টাইম ম্যানেজমেন্ট-উইকিপিডিয়া' লিখে সার্চ করেন, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন ফলাফল পাবেন।

ছবি: সংগৃহীত

গুনগুন সুর দিয়ে গান খুঁজুন

আপনি কি কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন, যখন একটি গান আপনার মাথায় আটকে আছে, কিন্তু আপনি সেই গানটি কী, তা খুঁজে পাচ্ছেন না? 

সেজন্যে এখন রয়েছে, 'মিডমি' নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। যা আপনার কোনো গানের গুনগুন থেকেই মূল গানের শিরোনাম খুঁজে বের করে দেয়। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, সাইটে গিয়ে 'আইডেন্টিফাই অ্যা সং' বোতামে ক্লিক করতে হবে। তারপর গানটি গুনগুন করে রেকর্ড কর‍তে হবে। এরপর লিসেনিং বন্ধ করে অনুসন্ধান শুরু করতে একই বোতাম চাপুন। এটি তাৎক্ষণিকভাবে আপনার সুরের সঙ্গে খুঁজে পাওয়া সমস্ত মিলগুলো দেখাবে।

টিভিতে দেখা পোশাক খুঁজে বের করুন

আপনি যদি টিভিতে কোনো পোশাক দেখেন এবং পোশাকটি কিনতে চান, তাহলে 'ওর্ন অন টিভি ডট নেট' সাইটটি থেকে সহজেই তাদের পরিধান করা পোশাকগুলো খুঁজে পেতে পারেন।

ছবি: সংগৃহীত

সময় বাঁচাতে ব্যবহার করুন ৬টি কীবোর্ড শর্টকাট

কম্পিউটারে কিছু কীবোর্ড শর্টকাট আপনার সময় বাঁচাতে বেশ সাহায্য করতে পারে।

  • উইন্ডোজ+ডি: আপনার ডেস্কটপে অনেকগুলো ট্যাব ও উইন্ডো খোলা থাকা সত্ত্বেও এটি আপনাকে ডেস্কটপ লুকাতে বা দেখাতে সাহায্য করে।
  • স্পেসবার: এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন পেজের নিচে স্ক্রল করতে পারবেন।
  • শিফট+স্পেসবার: এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন পেজে ওপরে স্ক্রল করতে পারবেন।
  • উইন্ডোজ+লেফট/রাইট অ্যারো: যদি আপনার একাধিক উইন্ডো খোলা থাকে, তাহলে এই শর্টকাটটি ব্যাবহার করে আপনি পাশাপাশি দুটি নির্বাচন করা এবং সেগুলোতে কাজ করতে পারবেন।
  • অল্টার+ট্যাব: এই শর্টকাটটি আপনাকে একাধিক উইন্ডোর মধ্যে দ্রুত সুইচ করতে সাহায্য করে।
  • উইন্ডোজ+এল: আপনি যদি গোপনীয় কিছু নিয়ে কাজ করেন এবং হঠাৎ কেউ যদি এসে পড়ে, তাহলে এই শর্টকাটটি ব্যবহার করুন। এটি আপনার কম্পিউটারকে এক সেকেন্ডের মধ্যে লক করে দিবে।

অ্যাটাচমেন্ট যুক্ত ইমেইল খুঁজে বের করুন

জিমেইলে অ্যাটাচমেন্ট যুক্ত ইমেইলগুলো একসঙ্গে খুঁজে বের করতে জিমেইলের সার্চবারে 'এইচএএস: অ্যাটাচমেন্ট' ব্যবহার করুন।

নতুন বই শুরুর আগে সেটি শেষ করতে কত সময় লাগবে তা জেনে নিন

আপনি যদি নিয়মিত পড়তে পছন্দ করেন, তাহলে এই হ্যাকটি আপনার জন্য বেশ উপভোগ্য হবে। 'হাউ লং টু রিড' নামের সাইটটি থেকে আপনার একটি বই শেষ করতে কত সময় লাগবে তা খুঁজে বের করে দেয়।

আপনাকে শুধু সাইটে গিয়ে বইয়ের নাম অনুসন্ধান করতে হবে। তারপর সাইটটি আপনাকে সেই নামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত বই দেখাবে। আপনি তখন যে বইটি পড়তে যাচ্ছেন সেটি নির্বাচন করুন। তারপর এটি আপনাকে একটি অনুচ্ছেদ পড়তে দেবে। আপনি যখন অনুচ্ছেদটি পড়া শুরু করবেন এবং শেষ করবেন তখন টাইমার বোতামটি চাপতে ভুলবেন না। আপনার কাজ শেষ হয়ে গেলে, এটি আপনার পড়ার গতি গণনা করবে এবং আপনাকে জানাবে যে আপনার নির্বাচিত নির্দিষ্ট বইটি শেষ করতে আপনি কত ঘণ্টা সময় নেবেন।

লেখায় বানান ও ব্যাকরণ ভুলের জন্যে

আপনার কোনো লেখা আরও শুদ্ধ এবং সুন্দর করে লিখতে, 'আফটার দ্য ডেডলাইন' নামের ওয়েবসাইটটি ব্যাবহার করতে পারেন। এটি আপনার লেখায় কোনো টাইপো, ব্যাকরণের ভুল থাকলে তা ঠিক করে দেবে। এ ছাড়া 'গ্রামারলি' প্লাটফরমটিও আপনাকে ত্রুটিমুক্ত ও ভালো মানের লেখা লিখতে সহায়তা করতে পারে। 

ছবি: সংগৃহীত

পুরনো মোবাইলকে নতুনভাবে ব্যবহার

পুরনো ফোন আর ব্যবহারে করতে না চাইলে আমরা সাধারণত সেটি কাউকে দিয়ে দেওয়া বা অল্প দামে বিক্রি করার কথা ভাবি। 

তবে পুরান ফোন আপনার কাছে বেশ দরকারি একটি জিনিস হয়ে উঠতে পারে। যেমন:

  • ইউনিভার্সাল টিভি রিমোট কন্ট্রোল অ্যাপ ডাউনলোড করে আপনার পুরোনো ফোনটিকে একটি টিভি রিমোট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
  • এটিকে অ্যালার্ম ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সকালে আপনার মোবাইল ফোনটিকে নিজের থেকে দূরে রেখে পুরনো ফোনটি কাছে রাখলে এটি আপনাকে সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করবে। তা ছাড়া সকালে উঠে প্রথমেই ফোনে হাতে নিয়ে সময় নষ্ট করা থেকেও বাঁচাবে।
  • আলফ্রেড সিসিটিভি ক্যামেরা অ্যাপটি ইনস্টলের মাধ্যমে এটিকে বাসার জন্য একটি হোম সিকিউরিটি ক্যামেরায় রূপান্তর করতে পারেন। 
  • এটিকে ড্যাশক্যামে পরিণত করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে ড্রয়েড ড্যাশক্যাম অ্যাপটি ডাউনলোড করে এটি সক্রিয় করতে হবে। তারপর একটি মাউন্ট কিনুন এবং মাউন্টের সঙ্গে আপনার ফোনটিকে ড্যাশবোর্ডে সংযুক্ত করুন। এটিকে পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে প্লাগ আপ করুন এবং আপনার ড্যাশক্যাম প্রস্তুত।

 

তথ্যসূত্র: মেক ইউজ অফ, হাফিংটন পোস্ট, হংকিয়াট

গ্রন্থনা: আহমেদ বিন কাদের অনি

 

 

Comments