শীর্ষ খবর

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১

নারায়ণগঞ্জ সদরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সদরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত এবং প্রায় অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি সংঘর্ষে নিহত হন।

নিহতের নাম শাওন মাহমুদ ওরফে আকাশ (২০) বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডিউটি ​​অফিসার নাজমুল হোসেন।

আকাশ সদর উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে। তিনি এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী ছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত

দুপুর ১টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

জানা গেছে, আজ সকালে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীরা শহরের উকিলপাড়া মোড় থেকে মিছিল নিয়ে ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এর পর বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।  

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এস কে ফরহাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন হাসপাতালে এসেছেন। আরও অনেকে আসছে।  

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা সকাল সাড়ে ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রা বের করি। শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে আমরা প্রতিবাদ করলে লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে টিয়ারশেল ও গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।'

তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দাবি করে বলেন, 'আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শাওন নামে  একজন যুবদল কর্মী পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। আমি নিজেও গুলিবিদ্ধ। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।'

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আজমেরী ইসলাম, টিয়ার গ্যাসে অসুস্থ হয়েছেন মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৩ শিক্ষার্থী, এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সিনিয়র নেতা সুজন মাহমুদ, তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি ওমর ফারুক নয়ন গুলিবিদ্ধ ও সোনারগাঁয়ের সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। বাকিদের নাম পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় পুলিশের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হলেও তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ছবি: সংগৃহীত

 
 

Comments