৪৩তম বিসিএস: বিলম্ব গেজেট বাড়াচ্ছে হতাশা

ছবি: সংগৃহীত

পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) নয় মাস আগে দুই হাজার ৮০৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে। অথচ, এখন পর্যন্ত ৪৩তম বিসিএসের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে হতাশা বাড়ছে প্রার্থীদের।

সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা গেজেট বিজ্ঞপ্তি এবং যোগদানের তারিখ জানতে উদ্বিগ্ন সময় কাটাচ্ছেন।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সুপারিশকৃত প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং প্রজ্ঞাপন দেওয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে ছিল।

সরকার পতনের পর সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে ২৫৫ জনের বিষয়ে পুনরায় যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ৮ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেসব কাজ হয়েছে সে বিষয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ২৫৫ জন প্রার্থীর গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা বেশ কয়েকজন প্রার্থী মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের বাধার মুখে পরেছেন।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা উপস্থিত হতে পারেননি, তাদের জন্য আরেকটি মেডিকেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য পিএসসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ৪৩তম বিসিএসের বেশ কয়েকজন উত্তীর্ণ প্রার্থী হতাশা প্রকাশ করেছেন।

বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী খালিদ হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি বলে পরের বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও আর কিছু করিনি। অথচ, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস দেখেন, আজও আমি বেকার।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, 'সুপারিশকৃত হওয়ার পর মাকে বলেছিলাম, তোমাকে আর গার্মেন্টসে কাজ করতে হবে না। তারপর নয় মাস কেটে গেল। আর আমার সেই স্বপ্ন এখন পর্যন্ত স্বপ্ন হয়েই আছে।'

২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত দুই হাজার ৮০৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করে। এর মধ্যে ক্যাডার পদে দুই হাজার ১৬৩ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ৬৪২ জন রয়েছেন।

ক্যাডার পদে সর্বোচ্চ ৮০৩ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে শিক্ষা ক্যাডারের জন্য।

২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে গেজেট প্রকাশ হতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

4h ago