বশেফমুবিপ্রবিতে ১৯ দিন পর ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা

উপাচার্যের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গত ২ নভেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছেন জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষকরা। তাদের লাগাতার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবার ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। 
জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

উপাচার্যের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গত ২ নভেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছেন জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষকরা। তাদের লাগাতার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবার ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। 

১৯ দিন পর শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষকদের আন্দোলনের আহ্বায়ক ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। তবে ১০ দফা দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ফিরে যাচ্ছি। তবে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকবে।'

সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আল মামুন সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ২ নভেম্বর থেকে ১০ দফা দাবি ও উপাচার্যের অপসরণের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষায় ফিরে যাব। তবে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকবে। অবস্থান কর্মসূচিসহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে ১০ দফা দাবিতে।'

ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন বলেন, 'গত ১৯ দিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে পড়েছিল। হল থেকে অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গিয়েছিল। শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে আসতে শুরু করেছে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। গত শুক্রবার উপাচার্যের নিয়োগের মেয়াদ শেষে চলে গিয়েছেন তিনি। তবে নতুন উপাচার্য হিসেবে এখন পর্যন্ত কেউ নিয়োগ পাননি। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি, এই ভিসি যাতে পুনরায় নিয়োগ না পান।

Comments