‘অত্যাচারী’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

রোববার দুপুরে বগুড়া শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষের গ্রেপ্তারসহ ৩ দাবিতে বগুড়া শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করেছে বগুড়া গভ. ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ওই সড়ক অবরোধ করে এবং সন্ধ্যা ৬টায় এই প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।

বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল ঘোষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি বহিরাগত হয়েও রাজনৈতিক পরিচয়ে কলেজের হোস্টেলে থাকতেন, কলেজের অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যাচার করতেন।

তার অত্যাচারের প্রতিবাদে এর আগে গত ২৯ আগস্ট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। 

আজ দীর্ঘসময় রাস্তা অবরোধের কারণে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

এর মধ্যে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ওমর ফারুক এবং বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেও তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হন।

অবরোধকারীরা শুধু রোগী পরিবহন করা যানবাহনের জন্য রাস্তা ছেড়ে দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত প্রায় একযুগ ধরে আইএইচটির হোস্টেলের ২১৮ নম্বর কক্ষ দখল করে রেখেছেন সজল। তিনি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের কলেজে এনে ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন। 

সন্ধ্যা ৬টায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ চলছিল। ছবি: স্টার

তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর, হলে সিট বাণিজ্য এবং পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকাও নিয়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এর আগে তার এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে অনেক শিক্ষার্থী মারধর-হয়রানির শিকার হয়েছেন।  

সজলের এসব অপরাধের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালেও প্রশাসন কোনো ভূমিকা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রতিষ্ঠানটির  ডেন্টাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সবুজ মন্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সজলকে আশ্রয় দেওয়ার পেছনে প্রিন্সিপাল নিজে জড়িত। পুলিশ অনেকদিন ধরে আশ্বাস দিলেও সজলকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি। তাকে না ধরলে আমরা কেউ বিপদমুক্ত নই।'

এই শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা, সজলের গ্রেপ্তার ও প্রিন্সিপালের অপসারণ দাবিতে তারা গত ১৩ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

জানতে চাইলে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীরা মামলা করেছে। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে হাসপাতালের সামনে রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যৌক্তিক নয়।'

পুলিশ ছাড়া অন্যান্য বাহিনীও অভিযুক্ত সজলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তিনি।

গত ২৯ তারিখ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে সেদিনই কলেজ হোস্টেল ত্যাগ করেন সজল ঘোষ। অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

Several Bangladeshi nationals have alleged that Indian authorities tortured them prior to pushing them across the border.

8h ago