রাবিতে ১৩১ শিক্ষার্থীর জন্ডিস, ১ জনের মৃত্যু

জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

মৃত মো. মুরাদ মৃধা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলায়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকেই রাবিতে জন্ডিসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

গত ১৫ জানুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩১ শিক্ষার্থী জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে রাবি মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসপাতালের নেফ্রোলজি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জন্ডিসে আক্রান্ত মুরাদ কিডনি বিকল হয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে মারা যান।'

তিনি বলেন, 'তার মৃত্যুর কারণ জন্ডিস ও একিউট কিডনি ইনজুরি বা একেআই। কিডনিতে সরাসরি আঘাত নয়, বরং অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে এই ইনজুরি হতে পারে।'

মুরাদ গত ২৮ জানুয়ারি জন্ডিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

তবে রাবি কর্তৃপক্ষ মুরাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানাতে পারেনি। 

জানতে চাইলে রাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি তার (মুরাদের) মৃত্যুর কারণ জানি না। তবে তার বিভাগের চেয়ারম্যান এবং একজন সহকারী প্রক্টর আমাকে ডেঙ্গুতে তার মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।'

তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে মুরাদের ডেঙ্গু ধরা পড়েনি বলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন।

মুরাদ রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে ছাত্রাবাসে থাকতেন বলে জানা গেছে।

সেখানে তার রুমমেট ছিলেন আবু নাইম খান। যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জানুয়ারির মাঝামাঝি ছাত্রাবাসের খাবার বন্ধ হয়ে গেল, মুরাদ শাহ মখদুম হলে খাওয়া শুরু করে। পরে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তার জ্বর এলে সে বাড়ি চলে যায়।'

জানতে চাইলে মুরাদের বাবা আবদুস সাত্তার মৃধা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মুরাদ বাসায় আসার দুইদিন পর জ্বর আরও বাড়লে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে।'

'তিন দিন পরে মুরাদের ডেঙ্গু নেগেটিভ হলেও, স্বাস্থ্য আরও খারাপ হতে থাকে। পরে ২৮ জানুয়ারি তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Iran's top security body to decide on Hormuz closure

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

13h ago