ভিসিকে পদত্যাগে বাধ্য করার অপচেষ্টা শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করবে: কুয়েট শিক্ষক সমিতি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের সাম্প্রতিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কুয়েট শিক্ষক সমিতি বলেছে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণসহ উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগে বাধ্য করার যে অপচেষ্টা চলছে, তা ক্যাম্পাসের শিক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে গুরুতরভাবে ব্যাহত করবে।
গতকাল শুক্রবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এছাড়া, কিছু শিক্ষার্থী ভাইস-চ্যান্সেলরসহ কয়েকজন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে এবং তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।
শিক্ষক সমিতি বলছে, দায়িত্ব পালনের অবহেলা বা ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কোনো শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দ্বারা এমন ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, বরং এর পেছনে কুচক্রী মহল ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চক্রান্ত কাজ করছে।
সমিতির অভিযোগ, সেদিন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হলেও তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করেনি। এতেও তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয় বিবৃতিতে।
সেইসঙ্গে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে কারা জড়িত, তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
আরও বলা হয়, 'রাজনীতিমুক্ত' কুয়েট ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে ২০০৩ সালের কুয়েট আইন এবং সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা উচিত।
শিক্ষক সমিতির দাবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসহযোগিতার কারণে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, যা পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর চাপানো ঠিক হবে না।
Comments