আইইএলটিএস জেনারেল রাইটিংয়ের ৭ পরামর্শ

যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাদের জন্য এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং বটে। সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের চাপ বিষয়টিকে আরও ভীতিকর করে তোলে। এ ক্ষেত্রে আগে আইইএলটিএস ফরম্যাট সম্পর্কে জানতে হবে, যা তাদের ওয়েবসাইটে গেলেই পাওয়া যাবে। একবার নিজের আশানুরূপ ফলাফল সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলে তা অর্জন করার উপায়ও সহজে পাওয়া যাবে। 
আইইএলটিএস জেনারেল রাইটিংয়ের ৭ পরামর্শ

আইইএলটিএস জেনারেল রাইটিং পরীক্ষায় ভালো স্কোর তোলা খুব একটা সহজ নয় তা সবারই জানা। এ ক্ষেত্রে বিদেশে যাওয়ার পথটা আরেকটু সুগম করতে আইইএলটিএস জেনারেল রাইটিং এক্সামে ভালো ব্যান্ড স্কোরের জন্য সিআইএস নিউজের সেরা ৭টি পরামর্শ অনুসরণ করা যেতে পারে। 

আইইএলটিএস ফরম্যাট সম্পর্কে জানা

যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাদের জন্য এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং বটে। সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের চাপ বিষয়টিকে আরও ভীতিকর করে তোলে। এ ক্ষেত্রে আগে আইইএলটিএস ফরম্যাট সম্পর্কে জানতে হবে, যা তাদের ওয়েবসাইটে গেলেই পাওয়া যাবে। একবার নিজের আশানুরূপ ফলাফল সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলে তা অর্জন করার উপায়ও সহজে পাওয়া যাবে। 

আগে বুঝতে হবে, কী জানতে চাওয়া হচ্ছে 

সাধারণত, প্রথম টাস্ক হিসেবে প্রার্থীকে একটি লেনদেন সংক্রান্ত লেটার লিখতে বলা হয়। অর্থাৎ, আপনাকে হয় কারও কাছে কিছু চাইতে হবে অথবা কেউ আপনার কাছ থেকে কিছু চাইলে তার জবাব দিতে হবে। এটি হতে পারে কোনো বিষয়ে কারও কাছে পরামর্শ চাওয়া, অভিযোগপত্র লেখা বা চাকরি চাওয়া ইত্যাদি।

পুরো টাস্কটি শেষ করতে ২০ মিনিট বা তারও কম সময় দেওয়া হয় এবং একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে ১৫০ শব্দে এর উত্তর লিখতে বলা হয়। দ্বিতীয় টাস্কের জন্য আপনাকে একটি প্রবন্ধ লিখতে বলা হবে, সময় ৪০ মিনিট, এবং সর্বনিম্ন ২৫০ শব্দে উত্তরটি লিখতে বলা হয়। এই অংশটি সাধারণত একটি সমস্যা বা যুক্তি সম্পর্কে। যেখানে আপনাকে এর পক্ষে অথবা বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।

মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা

পরীক্ষকরা সাধারণত দেখে থাকেন একজন প্রার্থী প্রথম টাস্কটি কতটা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং উত্তর দিয়েছেন, দ্বিতীয় টাস্কের উত্তর দিয়েছেন কি না, তাদের উত্তর কতটা সম্প্রসারিত এবং সেটা সমর্থন করেছেন। পাশাপাশি টাস্কটির বিষয়ে স্পষ্ট কোনো অবস্থান নিয়েছেন কি না।

কতটা বিস্তারিত ও সুসংগঠিতভাবে উত্তর দেওয়া হয়েছে, ব্যাকরণ কতটা সঠিক, শব্দভাণ্ডার কেমন এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। তাই একটি ভালো উত্তরে পরিপূর্ণ তথ্য থাকার পাশাপাশি সুসংগতভাবে সঠিক ব্যাকরণে লিখতে হবে, ভালো শব্দ বাঁছাই করতে হবে এবং কম সংখ্যক বানান ভুল থাকা উচিত।

লেখার পূর্বে চিন্তা ও পরিকল্পনা

সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রশ্ন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে লিখতে শুরু করেন। তবে লেখার আগে কয়েক মিনিট সময় নেওয়া উচিত। লেখাটি কীভাবে সুসংহতভাবে উপস্থাপন করতে হবে, সে সম্পর্কে পূর্ব পরিকল্পনা করা সর্বদা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সুন্দরভাবে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে সব বুলেট পয়েন্ট কভার করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সেগুলো উত্তর ক্রমানুসারে সাজিয়ে লেখাও গুরুত্বপূর্ণ। এতে লেখা আরও সুসংহত হবে।

সংশোধন

সাধারণত কোনো উত্তর ভুল হলে তা পুনরায় লেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় অবশিষ্ট থাকে না, তবে লেখায় ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন, সাধারণ শব্দের পরিবর্তন, বানানের ত্রুটি পরীক্ষা করার সময় পাওয়া যায়। এটি করার জন্য কিছুটা সময় হাতে রাখতে হবে, কেন না প্রত্যেক পয়েন্ট চূড়ান্ত ব্যান্ড স্কোরের জন্য গুরুত্ব বহন করে।

নমুনা প্রশ্নোত্তর অনুসরণ

যেসব উত্তর 'ভালো' হিসেবে বিবেচিত হয়েছে সেগুলোর নমুনা অনুসরণ, শব্দ ভাণ্ডার এবং বাক্যের গঠণশৈলী ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। আর এসব লিখনশৈলী অনুকরণ করে নিজের উত্তর আরও উন্নত করা যাবে। 

অনুশীলন

আইইএলটিএস ওয়েবসাইটে বেশ কিছু অনুশীলনপত্র পাওয়া যাবে। যতটা সম্ভব সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। 

 

অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া 

Comments