আইইএলটিএস: স্পিকিং মডিউলের পার্ট থ্রিতে ভালো করার উপায়

আইইএলটিএস স্পিকিং মডিউলের প্রথম অংশের সঙ্গে তৃতীয় অংশের প্রশ্নোত্তরের পার্থক্য অনেক। 
আইইএলটিএস: স্পিকিং মডিউলের পার্ট থ্রিতে ভালো করার উপায়
ছবি: সংগৃহীত

আইইএলটিএস স্পিকিং মডিউলের তৃতীয় অংশটি অনেক শিক্ষার্থীর কাছে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়। পরীক্ষার এই অংশটি মূলত প্রশ্নোত্তর পর্ব। স্পিকিং মডিউলের প্রথম অংশেও প্রশ্নোত্তর থাকে, তবে প্রথম অংশের সঙ্গে তৃতীয় অংশের প্রশ্নোত্তরের পার্থক্য অনেক। 

প্রথম অংশে শিক্ষার্থীদের নিজের এবং সাধারণ বিষয়াবলি জিজ্ঞেস করা হয়। প্রশ্নগুলো হয়ে থাকে পরিচিত, উত্তর থাকে জানা। 

তবে তৃতীয় অংশের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় যুক্তি এবং ব্যাখ্যার। তৃতীয় অংশের প্রশ্নগুলো দ্বিতীয় অংশে দেওয়া বিষয় সম্পৃক্ত হলেও দেখা যায় প্রশ্নগুলো দ্বিতীয় অংশের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পৃক্ত না। 

উদাহরণস্বরূপ, দ্বিতীয় অংশের বিষয় (যা নিয়ে শিক্ষার্থীকে একটানা বলে যেতে হয়) যদি হয় ছোটবেলায় বসবাস করা এলাকার কথা, তবে তৃতীয় অংশের প্রশ্ন হতে পারে, শহরে বসবাসকারীদের জন্য কোন কোন সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন? যেখানে দেখা যায়, উক্ত প্রশ্নে দ্বিতীয় অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বসবাসকেন্দ্রিক প্রশ্ন ঠিকই কিন্তু তা দ্বিতীয় অংশের বিষয় নিজের বসবাস করা এলাকার সঙ্গে পুরোপুরি সম্পৃক্ত না। 

স্পিকিং মডিউলের তৃতীয় অংশে ভালো করার জন্য পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই প্রশ্নকর্তার জিজ্ঞাসা ঠিকমতো বুঝতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ঠিকমতো শুনতে না পেলে প্রশ্নকর্তার কাছ থেকে পুনরায় শুনে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পুনরায় জিজ্ঞাসা কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না যদি পুনরায় জিজ্ঞাসার সঠিক উপায় মানা হয়। 

প্রশ্ন বোঝার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আরও সমস্যায় পড়েন, তৃতীয় অংশের প্রশ্নগুলো অনেক বড় হওয়ায়। যেখানে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের সবটুকু না বুঝতে পেরে আংশিক উত্তর দিচ্ছেন। যেমন প্রশ্নকর্তা হয়তো জিজ্ঞাসা করলো, বাচ্চাদের সব সময় বাসার কাছাকাছি বিদ্যালয়ে ভর্তি করা উচিত কি না? আর পরীক্ষার্থী উত্তর দিল বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে যাওয়া উচিত নাকি উচিত না, সেটার। অর্থাৎ প্রশ্নের বাসার কাছাকাছি অংশের বিষয়টি উত্তরে জায়গা পেল না। কিংবা প্রশ্নের সব সময়ের বিষয়টি পরীক্ষার্থী এড়িয়ে গেল। সেজন্য প্রশ্নকর্তার জিজ্ঞাসা সম্পূর্ণভাবে এবং সঠিকভাবে শোনা ও বোঝা খুবই জরুরি। 

স্পিকিং মডিউলের তৃতীয় অংশে শিক্ষার্থীরা যদি ভালো করতে চায়, তবে তাদের ব্যাখ্যামূলক উত্তর দেওয়ার চর্চা করতে হবে। উক্ত চর্চা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের যুক্তির উপস্থাপন শিখতে হবে এবং নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। 

ব্যাখ্যামূলক উত্তর দেওয়ার দক্ষতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ ব্যকরণ, গঠন এবং শব্দের ব্যবহার শিখতে হবে। এরই সঙ্গে, যুক্তির উপস্থাপনে ২ বাক্যের ও কথার এক অংশের সঙ্গে অন্য অংশের মধ্যকার সম্পর্ক স্থাপনকারী শব্দ বা শব্দসমষ্টির ব্যবহার শিখতে হবে। যেখানে as a result, furthermore, likewise, yet, in the meantime ইত্যাদি শব্দ বা শব্দসমষ্টি বিবেচ্য। 

তৃতীয় অংশে প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীদের নিজদের ধারণা প্রকাশ করতে হয়, কিন্তু ভালো স্কোরের জন্য শুধু প্রকাশ করাই যথেষ্ট না, ব্যক্ত ধারণাকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা এবং নিজের যুক্তির পক্ষে সমর্থনযোগ্য উদাহরণের উপস্থাপন করতে হয়। 

যদি কোনো প্রশ্ন হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘর-বাড়ির নকশায় কী জাতীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং তা কেন? তাহলে উত্তর দিতে গিয়ে পরীক্ষার্থী শুধু ঘর-বাড়ির নকশায় অনেক পরিবর্তন এসেছে তা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলে সময় ক্ষেপণ করলে স্পিকিং মডিউলে ভালো স্কোরের আশা ছেড়ে দিতে হবে। 

ভালো স্কোর তখনই পাওয়া যাবে, যদি উত্তরে ঘর-বাড়ির নকশায় কী জাতীয় পরিবর্তন এসেছে বলে শিক্ষার্থী মনে করে এবং সেসব পরিবর্তনের পেছনে কোন কোন কারণ থাকতে পারে বলে সে মনে করে- তার উদাহরণসহ প্রকাশ উত্তরে উল্লেখ থাকে। 

এ ক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরি, তৃতীয় অংশের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীদের যে নৈর্ব্যক্তিকতার আশ্রয় নিতে হবে, এমন না। শিক্ষার্থীদের নিজেদের অভিমতই জানাতে হবে, কিন্তু তা অবশ্যই যুক্তি-ব্যাখ্যা ও উদাহরণ সহকারে। 

স্পিকিং মডিউলের সামগ্রিক স্কোর ভালো করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তৃতীয় অংশে সর্বোচ্চ দখল অর্জন করতে হবে। সেজন্য ব্যাখ্যা সহকারে বিভিন্ন ধারণা উপস্থাপন, নানাবিধ বাক্য, শব্দ ও শব্দসমষ্টির ব্যবহারে যোগ্যতা অর্জন এবং নিয়মিত চর্চা করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। 

Comments