ত্রাণ অপ্রতুল: কুলাউড়া আ. লীগ সভাপতি

রফিকুল ইসলাম রেনু। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সরকার কুলাউড়ায় বন্যাদুর্গতদের যে বরাদ্দ দিচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু।

গতকাল বুধবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম রেনু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমি ভূকশিমইল ইউনিয়ন পরিদর্শনে এসেছি। গতকাল ৭ কেজি করে চাল ২০০-২৫০ জনকে দেওয়া হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই ২-৩টা গ্রামে মৎস্যজীবী অতি দরিদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বসবাস। বলতে গেলে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। আজকে শেডঘরে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০টি পরিবার আছে। গতকালকে তাদের কিছুই দেওয়া হয়নি। ৩-৪ দিন আগে শুধু সামান্য শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।'

তার মতে, 'গত বছর পুরো কুলাউড়া থানায় বন্যা হয়েছিল। শত শত টন চাল বরাদ্দ হয়েছিল ডেপুটি কমিশনারের পক্ষ থেকে। এবার সরকারের পক্ষ থেকে ভূকশিমইল ইউনিয়ন বা আশেপাশের কাদিপুর আংশিক, জয়চণ্ডি আংশিক, বরমচাল আংশিক, ভাটেরা আংশিক এলাকাগুলোয় পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে মানুষকে সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।'

এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, 'আমরাও ৭০-৭৫ বছর থেকে আওয়ামী লীগ করছি। আজকে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে একেবারে অসহায় হয়ে গেছি। সিলেট অঞ্চলের যে দুঃখ-দুর্দশা, স্মরণকালের ইতিহাসে এরকম আমরা দেখিনি।'

'কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়ন হান্ড্রেড পার্সেন্ট ডেমেজড,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'জলবন্দি অসহায় মানুষের ফরিয়াদ, অন্ন চাই, বস্ত্র চাই। সরকার যে বরাদ্দ দিচ্ছে কুলাউড়ায়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।'

'এটা হাওরবেষ্টিত অঞ্চল। এই অঞ্চলের মানুষের আর কোনো ভরসা নেই। ঘরবাড়িতে কোনোমতে আছে। কেউ আছে মাচা বেঁধে, কেউ আছে শেডঘরে, কেউ আছে আশ্রয়কেন্দ্রে। বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ফুলফিল্ড। অতএব, যে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'

কুলাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শিমুল আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা মোট ৭৫ মেট্রিক টন চাল পেয়েছি। সঙ্গে নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবারও পেয়েছি। ৭৫ মেট্রিক টন চালের মধ্যে ৩৫ মেট্রিক টন ৩ হাজার ৫০০ পরিবারকে বিতরণ করেছি। বাকি চাল আরও ৪ হাজার পরিবারকে বিতরণ করব।'

'এ ছাড়া, নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। ১৪ হাজার পরিবারের জন্য বরাদ্দ চেয়েছি আমরা,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

SWISS Banks: Funds linked to Bangladesh hit 3-year high

Bangladeshi-linked funds parked in Swiss banks surged to 589.5 million Swiss francs, or about Tk 8,800 crore, in 2024, their highest level in three years, according to data released by the Swiss National Bank (SNB) yesterday.

9h ago