ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেমি, ধরলার ২০ সেমি উপরে
কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি কমে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার বিকেল থেকে অবনতি হচ্ছে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পানি বিপৎসীমার নিচে নামতে পারে।'
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্ট ভাটিতে হওয়ায় সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর যাত্রাপুর গ্রামের বানভাসি দিনমজুর আজিজুর রহমান (৫৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ১০ দিন ধরে রাস্তায় থাকছি। বাড়িতে এখনো বন্যার পানি। সরকারিভাবে ১০ কেজি চাল সহায়তা পেয়েছি। তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বন্যার কারণে এলাকায় কোনো কাজ নেই। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে।'
রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের চর ভেরাবাড়ি এলাকার বানভাসি আনোয়ারা বেওয়া (৬০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়িতে এখনো বন্যার পানি। পানি না নামা পর্যন্ত সরকারি রাস্তায় পলিথিনে মোড়ানো ঝুপড়িতে থাকতে হবে। ২ দিন আগে সরকারি ত্রাণের ১০ কেজি চাল শেষ হয়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে আছি।'
রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্তী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুর্গত এলাকায় গিয়ে বানভাসিদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছি। পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা মজুদ আছে। প্রয়োজন হলে আরও ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হবে। বন্যাদুর্গত এলাকার লোকজনের সার্বিক খবর রাখা হচ্ছে।'
বানভাসি মানুষকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
এ দিকে, লালমনিরহাটে ধরলা ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকায় উন্নতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতি।
Comments