বাজেটে অগ্রাধিকার ঠিক থাকলেও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে: এমসিসিআই

বাজেটে উন্নয়নের অগ্রাধিকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারের প্রশংসা করেছেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) নেতারা। তবে আগামী অর্থবছরে শেখ হাসিনা প্রশাসনের জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তারা।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবার এ কথা বলে এমসিসিআই।

এমসিসিআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমসিসিআই বিশ্বাস করে, করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট দেশীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থায় বাজেট তৈরি করা অর্থমন্ত্রীর জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল।

বাজেটে সরকার ৫টি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যার মধ্যে আছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি ও সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ উন্নয়ন।

জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে এসব ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানায় এমসিসিআই।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'কর প্রশাসন যেন যথাযথভাবে রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারে, সেজন্য সেখানে অর্থপূর্ণ কাঠামোগত পরিবর্তনের পরামর্শ দিচ্ছে এমসিসিআই। বিদ্যমান কাঠামোতে উচ্চ আয়ের অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠানও করের আওতার বাইরে থেকে যায়, কিন্তু নিয়মিত কর দিয়ে আসা ব্যক্তি-ব্যবসায়ীদের ওপর আরও বেশি করে করের বোঝা চাপানো হয়। বিষয়টি সঠিকভাবে সমাধান করা প্রয়োজন।'

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আগামী অর্থবছরে সরকার কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি অর্থপাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবের সমালোচনা করেন।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) মনে করে, মোট দেশজ উৎপাদনের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনযোগ্য।

চেম্বার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দের প্রশংসা করলেও মূল মেগা প্রকল্পগুলোর জন্য জন্য বরাদ্দ হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

বাংলাদেশে আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ আশা করছেন, কৃষি খাতে আরও প্রণোদনা বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, 'কৃষি যন্ত্রপাতি ও হাইব্রিড গাড়ির দাম কমাতে হবে।'

টেকসই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ছাড়া কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কল্পনা করা যায় না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

11h ago