স্থপতির চোখে নতুন ঢাকা
অপ্রতুল নাগরিক সুবিধা, যানজট, অতিরিক্ত জনঘনত্ব, সুস্থ বিনোদনের অভাব এসবের সঙ্গে নিত্যদিন হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীবাসী। ঢাকাকে ঘিরে রেলপথ, জলপথ, রাজপথ তৈরি ও পরিকল্পনামাফিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন স্থপতি কাজি খালেদ আশরাফ। শনিবার গুলশানে বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে বুড়িগঙ্গার পাড় সংস্কার ও গুলশানে দুটি কমার্শিয়াল হাব স্থাপনে নগর পরিকল্পনা প্রদর্শনী উদ্বোধন করার সময় রাজধানীর সমস্যা ও তার জন্য করণীয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। প্রদর্শনীতেও উঠে এলো স্থপতির কল্পনায় নতুন ঢাকার একটি সম্যক ছবি।
নগরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ও একটি আদর্শ ঢাকার কল্পিত রূপের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বেঙ্গল ইন্সটিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে থাকা স্থপতি কাজি খালেদ আশরাফ।
ঢাকার মাঝখানে একটি মাত্র রেলওয়ে হাব না রেখে গাজীপুর ও কেরানীগঞ্জে দুইটি আলাদা রেলওয়ে হাব করার পক্ষে তিনি। কাঙ্ক্ষিত মেট্রো রেলের সাফল্যও নগরবাসীর হেঁটে চলার রাস্তা নিশ্চিত করতে পারার ওপর নির্ভর করছে বলে তিনি মনে করেন। খিলক্ষেত থেকে গুলশান-হাতিরঝিল-কারওয়ানবাজার হয়ে ধানমন্ডি পর্যন্ত হালকা রেল নগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই সঙ্গে বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্যবর্ধন ও রাজধানীবাসীর বিনোদনের জন্য সদরঘাট ও কেরানীগঞ্জে নদীর পাড় সংস্কারের ওপর জোর দেন তিনি।
বিকেন্দ্রীকরণ ও জনসংখ্যার ঘনত্ব কমানোর মাধ্যমে ঢাকার নগরায়ন সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। সেই সাথে কাঙ্ক্ষিত নগরায়নের জন্য আঞ্চলিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলোকে কোনমতেই উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেও তিনি যোগ করেন।
নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা করার সময় সেটার বাস্তবায়নযোগ্যতার দিকে লক্ষ্য রাখার ওপর জোর দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। কেরানীগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকার মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
Comments