রোহিঙ্গা গণহত্যা: মিয়ানমারের আপত্তির ব্যাপারে আজ রায় দেবে আইসিজে

সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা পালিয়ে যেতে এমন ঝুঁকিপূর্ণ পথও বেছে নিচ্ছেন। এই দলটি ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে আটকা পড়েছিল। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

২০১৭ সালে মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দায়ের করা গণহত্যা মামলায় মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তির বিষয়ে রায় দিতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের এই আদালতে মিয়ামারের আপত্তির বিষয়ে যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। আইসিজে সভাপতি বিচারক জোয়ান ই দোনোঘুই আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় তার রায়টি পড়বেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।  

এ ব্যাপারে নিউইয়র্কের গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টারের (জিজেসি) সভাপতি আকিলা রাধাকৃষ্ণানের ভাষ্য, আইসিজে মিয়ানমারের আপত্তিগুলো 'যুক্তিসঙ্গতভাবেই প্রত্যাখ্যান করবে, যাতে আদালত এই প্রক্রিয়ার পরবর্তী পর্যায়ে যেতে পারে। সবকিছুই নির্ভর করবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কতটা সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা গেল।'

বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকের (বিআরওইউকে) সভাপতি তুন খিন আল জাজিরাকে বলেন, '(মিয়ানমারের) এই  আপত্তিগুলি বিলম্বিত কৌশল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আইসিজে যে দেড় বছর সময় নিয়েছে, তা হতাশাজনক।'

তিনি আরও বলেন, 'গণহত্যা এখনো চলছে। তাই এ ব্যাপারে আর দেরি না করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।'

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধ বা দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গাম্বিয়া ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমারে সামরিক দমন-পীড়নের ফলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশ করে। জাতিসংঘ যাকে 'গণহত্যার অভিপ্রায়' বলে অভিহিত করেছে।

মামলায় প্রাথমিক শুনানির পর আইসিজে তাদের দাবিগুলো যথেষ্ঠ শক্তিশালী বলে মনে করে এবং রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকে নির্দেশ দেয়।

২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় ৫০০-পৃষ্ঠারও বেশি একটি স্মারক দাখিল করে। যেখানে দেখানো হয় কীভাবে তৎকালীন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে।

স্মারকটিতে গাম্বিয়ার মামলার সমর্থনে ৫ হাজার পৃষ্ঠারও বেশি সহায়ক উপাদান সংযুক্ত করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

US customs will apply a tariff rate only to the non-American portion of a product's value

10h ago