নারায়ণগঞ্জে ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার

arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ধাক্কা দেওয়া বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ফেনী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মো. শহিদুল ইসলাম চট্টগ্রামের মোহাম্মদ ইমাম হোসেনের ছেলে।

র‌্যাব-১১ এর উপপরিচালক মেজর সানরিয়া চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ১৫ জুলাই সোনারগাঁও উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি প্রাইভেটকারে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ২ শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হন আরও ৩ জন। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানার মামলায় ধাক্কা দেওয়া বাসচালক শহিদুল ইসলামকে ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে আজ শনিবার সকাল ১১টায় আদমজীনগরে র‌্যাব-১১ এর হেডকোয়ার্টারে ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।'

১৫ জুলাই কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'ঢাকা থেকে প্রাইভেটকারে সোনারগাঁওয়ের পানাম নগরীতে ঘুরতে যাচ্ছিলেন ৫ বন্ধু। সকাল পৌনে ১১টায় মহাসড়কে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চট্টগ্রামগামী লেন থেকে ঢাকাগামী লেনে চলে যায়। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। প্রাইভেটকারে থাকা মাহিমা, আনান, সাইফুল, আবির ও রাহাত গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক মাহিমাকে মৃত ঘোষণা করেন, আর রাহাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।'

সেসময় বাসটি আটক করলেও এর চালক ও হেলপার পালিয়ে যান।

নিহতরা হলেন, ডেমরার শারুলিয়ার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমানের মেয়ে সুমাইয়া মাহিমা রহমান ও মধ্য বাড্ডা এলাকার রাহাদ মাহমুদ রাহাত। তারা ২ জনই ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন। মাহিমা ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ও রাহাত বিবিএ'র শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আহতরা হলেন, আনান, সাইফুল ও আবির। তারাও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।

Comments