বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানার অ্যাকাউন্টে ২৮.৪৬ কোটি টাকা

সোহেল রানা। ছবি: সংগৃহীত

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার ৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক।

৬টি ব্যাংকে এসব অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তিনি। 

ই-কমার্স ব্যবসায় অবৈধ বিনিয়োগের মাধ্যমে থেকে তিনি এই অর্থ পেয়েছেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্রটি আরও জানায়, সোহেল রানা নিজের পরিচয় গোপন করে ই-অরেঞ্জ খুলে প্রায় ২৮ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ৯১৩ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে উপ-পরিচালক মোনায়েম হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মোনায়েম হোসেন ইতোমধ্যে দুদকে তার অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

দুদক এই প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে এবং মোনায়েম হোসেনকে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেছে বলে নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।

যোগাযোগ করা হলে দুদকের উপ-পরিচালক মোনায়েম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি শিগগির সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় গত ১৬ আগস্ট ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন গ্রাহকরা।

ওই মামলায় ই–অরেঞ্জের সাবেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বীথি আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানার নাম উল্লেখ করা হয়।

ই-অরেঞ্জের সাবেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই সোহেল রানা। সোনিয়া ও তার স্বামী মাসুকুর মূলত ই-অরেঞ্জ চালাতেন। সোহেল রানা ছিলেন এর পরিচালক।

অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সোহেল রানাকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

3h ago