পুলিশ হেফাজতে ‘মৃত্যু’

রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় আটকের পর ‘পুলিশ হেফাজতে’ মিজানুর রহমান এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে ইয়াবাসহ আটক করা হয় এবং তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামি। গত বৃহস্পতিবার মিজানুরের মৃত্যু হয়।
মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় আটকের পর 'পুলিশ হেফাজতে' মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে ইয়াবাসহ আটক করা হয় এবং তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামি। গত বৃহস্পতিবার মিজানুরের মৃত্যু হয়।

পুলিশের দাবি, মিজানুর রহমানকে ইয়াবাসহ আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি জোনের অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মাসুম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার রাতে হাজারীবাগ বেড়িবাধ এলাকায় চেকপোস্টে আটক করা হয় মিজানুর রহমানকে। এসময় তার দেহে তল্লাশি করে ১০ পিস ইয়াবা ও কিছু গাজা পাওয়া যায়। তারপর তাকে থানায় আনা হচ্ছিল। থানার গেটের সামনে নামানোর সময় তিনি অসুস্থবোধ করেন। পরে তাকে আটক করা টিম উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মিজানুরকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দু'একটা পরীক্ষার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।'

তিনি আরও বলেন, 'তার বিরুদ্ধে ১৪টির বেশি মামলা আছে। যার বেশিরভাগ মাদক মামলা। তার বয়স ৪৮ বছরের মতো এবং বাড়ি হাজারীবাগের বারইখালী। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার তার পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে গেছেন।'

এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মিজানুর রহমানের বড় ভাই মুজিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ভাই পুলিশ হেফাজতে মারা গেছে। তবে, থানার ভিতরে নাকি বাইরে মারা গেছে তা আমরা জানি না। তার মৃত্যু নিয়ে পুলিশ আমাদের বিস্তারিত তথ্য জানাইনি। তাকে কোথায় আটক করা হয়েছে তাও আমরা জানি না। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে পুলিশ ফোন দিয়ে আমাদের তার মৃত্যু কথা জানায়। কিন্তু, আমার ভাই তো সুস্থ ছিল।'

মুজিবুর আরও বলেন, 'আমার ভাইয়ের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে।'

এর বাইরে আর কিছু বলতে রাজি হননি মুজিবুর রহমান।

Comments