টাঙ্গাইলে হেফাজতে একজনের মৃত্যু, পুলিশের দাবি আত্মহত্যা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে লেবু মিয়া (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
লেবু মিয়ার বাড়ি বাঁশতৈল গ্রামে। তার বাবার নাম বাহার উদ্দিন। লেবু দিনমজুর ছিলেন। এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড ও তাতে লেবু মিয়া জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল দুপুরে নিজের বাড়িতে বাঁশতৈল গ্রামের গৃহবধূ সখিনা আক্তারের (৪০) মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এই 'হত্যাকাণ্ডে' জড়িত সন্দেহে সখিনার প্রাক্তন স্বামী মফিজুর রহমান ও পূর্ব পরিচিত লেবু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। ফাঁড়ি হাজতে তাদের পৃথক দুটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। রাতে যে কোনো সময় লেবু মিয়া ভেন্টিলেটরের রডের সঙ্গে নায়লনের রশি পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য লেবু মিয়ার মরদেহ সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে, জানান তিনি।
পুলিশ হেফাজতে লেবু মিয়ার মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে দুপুর ২টার দিকে তার স্বজন এবং এলাকাবাসী গোড়াই-সখীপুর সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।
লেবু মিয়ার স্ত্রী আলেয়া বেগমের অভিযোগ, তার স্বামীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরিফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, এই ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
Comments