যে কারণে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় এক ঘণ্টা দেরি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে টোল পরিশোধে যানবাহনগুলোকে আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নির্ধারিত টোল নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে চালকদের বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এ কারণে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে টোল প্লাজা অতিক্রম করেছে এবং সেখানে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে বলে টোল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় পদ্মা সেতুমুখী যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে টোল পরিশোধে যানবাহনগুলোকে আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নির্ধারিত টোল নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে চালকদের বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এ কারণে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে টোল প্লাজা অতিক্রম করেছে এবং সেখানে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে বলে টোল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক নামে। এ মহাসড়কে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে টোল আদায় শুরু হয়।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ সীমানাধীন ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় পদ্মা সেতুমুখী যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।

সারাদিন টোল প্লাজা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানবাহনের সারি ছিল। এসব গাড়ি ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে থেকে টোল পরিশোধ করেছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

এদিকে চালকদের অভিযোগ, নতুন নির্ধারিত টোল সম্পর্কে তাদের জানা না থাকায় কিছুটা দ্বন্দ্বে থাকতে হয়েছে তাদের।

তারা বলছেন, আগে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যে টোল নেওয়া হচ্ছিল, তা ছিল সেতুর জন্য। কিন্তু এখন নেওয়া হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ের জন্য। এটা অনেকের বুঝতে অসুবিধা হয়েছে।

অনেকে আগের টোলের সমপরিমাণ টাকা হাতে নিয়ে বুথে দেওয়ার পর জেনেছেন যে সেটাই যথেষ্ট নয়, আরও টাকা লাগবে।

কেন লাগবে, জানতে চাইলেও টোল কর্মীরা অনেকের প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে চালকরা অভিযোগ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে টোল সংগ্রহকারী নূর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সব চালকদের আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা দিতে গেলে ৩-৪ মিনিট পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে। এতে করে গাড়ির চাপ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছিল। নতুন টোলের টাকা পরিশোধ করতে অনেককেই বারবার অনুরোধ করতে হয়েছে।'

মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবুল কাশেম মোহাম্মদ নাহীন রেজা ডেইলি স্টারকে জানান, ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় সকাল থেকে অত্যধিক গাড়ির চাপ ছিল। অনেকে এক্সপ্রেসওয়ের টোল পরিশোধ করতে গিয়ে টোল কর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন। এজন্য টোল প্লাজা পার হতে বেশি সময় লেগেছে।

তিনি বলেন, 'অনেকে নতুন নির্ধারিত টোলের টাকা সম্পর্কে জানেন না। এজন্য টোলের কাছে এসে টাকার পরিমাণ জেনে টোল পরিশোধ করতে দেরি করেছেন।'

ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় মোট ১২টি টোল বুথ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, '৮ ঘণ্টা পর পর টোল প্লাজায় স্টাফদের বিরতি হয়। তখন নতুন স্টাফ এলে আগের কর্মীরা বিরতিতে যান।'

কেরানীগঞ্জ সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুল মোমেন ডেইলি স্টারকে জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে আরও ৮টি টোল বুথ স্থাপনের কাজ চলমান আছে। নতুন বুথ স্থাপন হলে যানবাহনের ধীরগতি থাকবে না।'

তিনি বলেন, 'অনেক গাড়িচালক নতুন নির্ধারিত টোল পরিশোধ করতে গিয়ে স্টাফদের সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট করেছেন। আবার পোস্তগোলায় টোল না থাকায় সব গাড়ি সরাসরি ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় এসে জমা হয়েছে।'

'আবার স্টাফরা চালকদের নতুন নির্ধারিত টোল সম্পর্কে জানাতে গিয়েও হিমশিম খেয়েছেন,' বলেন তিনি।

Comments