আমরা কখনোই তাদের নেতাদের ছোট করে কথা বলি না: ফখরুল

fakhrul_1jun22.jpg
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা কখনোই তাদের নেতাদের ছোট করে কথা বলি না।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান শিখিয়েছেন, যার যা অবদান আছে আমরা স্বীকার করি। তারা প্রতি মুহূর্তে আমাদের নেতাদের, দেশের নেতাদের—যারা এ দেশের জন্য কাজ করেছেন, যারা এ দেশ সৃষ্টি করেছেন তাদের অবজ্ঞা করে-খারাপ কথা বলে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল আয়োজিত 'বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লব-শহীদ জিয়ার নীতি ও কর্মসূচি' শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিতে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, তার নাম থাকবে না। মনে রাখতে হবে আমাদের এমন এক নেতার প্রতিষ্ঠিত দলে আমরা কাজ করি, যেখানে চুরি-লুটপাট এগুলোর স্থান ছিল না। যেখানে অন্যায়ের কোনো স্থান ছিল না। সততার এমন একটা পরাকাষ্ঠ আমরা আর দেখিনি। সেই জিয়াউর রহমানকে উপড়ে ফেলতে চায়, তার নাম মুছে ফেলতে চায়।

তিনি বলেন, গতকালও তথ্যমন্ত্রী বলেছেন তিনি (জিয়াউর রহমান) বিশ্বাস ঘাতক ছিলেন। উনার (তথ্যমন্ত্রী) জন্ম হয়েছিল কি না সে সময় আমি জানি না। কতটুকু দেখেছেন তাও আমি জানি না। উনার এখানে থেকে যে কালচারটা, তার সংস্কৃতির প্রমাণ পাওয়া যায়। আমরা কখনোই তাদের নেতাদের ছোট করে কথা বলি না। জিয়াউর রহমান শিখিয়েছেন, যার যা অবদান আছে আমরা স্বীকার করি। তারা প্রতি মুহূর্তে আমাদের নেতাদের, দেশের নেতাদের—যারা এ দেশের জন্য কাজ করেছে, যারা এ দেশ সৃষ্টি করেছে তাদের অবজ্ঞা করে-খারাপ কথা বলে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটা কথা বারবার বলতে চাই, ভাষার পরিবর্তন করেন। কাল যেভাবে হুমকি দিয়েছে ওবায়দুল কাদের সাহেব এটা কোনো রাজনৈতিক ভাষা নয়। আপনারা মিথ্যা কথা বলেন কেন; গণতন্ত্র চান। আপনারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসই করেন না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে এ ভাষায় কথা বলতেন না। ছাত্রদের মারলেন, সেটাকে আবার জাস্টিফাই করছেন। এটাই আওয়ামী লীগ, এটাই হলো তাদের চরিত্র। এরা একদিকে লুট করবে, মানুষকে হত্যা করবে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতা দখল করে আরও বেশি করে লুটপাত করবে।

জোট গঠনের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, এই অচলাবস্থা, দম বন্ধ করা পরিবেশ—এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশের ফিরিয়ে আনতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Exports under strain as India slaps more restrictions

Industry insiders say the new restrictions could deepen Bangladesh's export woes at a time when global demand remains fragile and other sectors—from garments to processed foods—also face trade hurdles

58m ago