সাম্প্রদায়িক অপশক্তি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে সংগ্রামের আহ্বান সিপিবির

ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলে হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।  

বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'এখনকার ও অতীতের ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাম্প্রদায়িকতাকে লালনপালন করেছে। ক্ষমতার অন্যতম ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ আজ অচেনা। সমাজে সাম্প্রদায়িকতা খুঁটি গেড়ে বসেছে। একে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তি, গোষ্ঠী স্বার্থে, ক্ষমতার স্বার্থে।'

'এই অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও এর মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়ায় এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। চলমান দুঃশাসন এইসব ঘটনাকে জিইয়ে রাখছে। এর বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে', যোগ করেন তিনি।

তিনি সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও চলমান দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

আজ বিকেল ৫টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড এ. এন. রাশেদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড ডা. দিবালোক সিংহ, কমরেড অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা ও কমরেড জলি তালুকদার। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. সাজেদুল হক রুবেল।

সমাবেশে কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, 'বেশকিছু ঘটনায় দেখা গেছে, ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্টে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে এ ধরনের অপকর্ম সংগঠিত করা হচ্ছে। এসব ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।'

তিনি এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি ও কার্যকর ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান।

ডা. দিবালোক সিংহ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবি করে বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ এখনও সব মানুষের বাসযোগ্য হয়নি।'

তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নীতিনিষ্ঠ, প্রগতিশীল, বাম গণতান্ত্রিক শক্তির বিকল্প সমাবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এ. এন. রাশেদা বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে এদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। যে অপশক্তি ও এর মদদদাতারা এর সঙ্গে জড়িত, তারা সরকারের সমর্থনেই এ কাজ করছে।'

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

Comments

The Daily Star  | English

‘We knew nothing about any open letter’

Journalist Bibhuranjan’s son says after identifying his body

5h ago