বরিসকে তাৎক্ষণিক সরাতে লেবার দলের অনাস্থা প্রস্তাব

আজ যুক্তরাজ্যের লেবার দল হাউজ অব কমন্সে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব আনবে। এর উদ্দেশ্য, সদ্য পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া বরিস জনসনকে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে তাৎক্ষনিকভাবে বিদায় করা।
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও লেবার দলের নেতা কের স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও লেবার দলের নেতা কের স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত

আজ যুক্তরাজ্যের লেবার দল হাউজ অব কমন্সে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব আনবে। এর উদ্দেশ্য, সদ্য পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া বরিস জনসনকে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিদায় করা।

আজ যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

লেবার দলের একটি সূত্র জানিয়েছেন, আজ এই প্রস্তাব 'টেবিলে' রাখা হবে এবং খুব সম্ভবত এ বিষয়ে আগামীকাল ভোটাভুটির আয়োজন করা হবে।

হাউজ অব কমন্সে এ ধরনের ভোটাভুটির প্রস্তাব গ্রহণ করা বা না করার সিদ্ধান্ত ক্ষমতাসীন দলের। তবে প্রথা অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক বিরোধী দল এ ধরনের কোনও অনুরোধ রাখলে তা আমলে নেওয়া হয়য়।

গতকাল টোরি দলের নেতৃত্ব পরিবর্তনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের পর জানা গেছে, বরিস জনসন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। এ সংবাদের পরই লেবার দল তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেয়।

লেবার দল তাদের অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়েছে, দলের নেতা হিসেবে পদত্যাগের পর তাৎক্ষণিকভাবে বরিস জনসনের ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবন ছেড়ে যাওয়া উচিৎ।

যদি ক্ষমতাসীন দল এই অনাস্থা ভোটে হেরে যায়, তবে দেশে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা দেখা দিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা জানান।

তবে এ ক্ষেত্রে হাউজ অব কমন্সের সংখ্যালঘু লেবার দলের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। টোরি দলের কনজারভেটিভ সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে প্রত্যাশা, তারা ভোট দিয়ে সরকারকে জয়ী করতে চাইবেন, যাতে সুষ্ঠুভাবে টোরি দলের নেতৃত্বের লড়াই পরিচালিত হয়য়।

ইতোমধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস সহ বেশ কয়েকজন টোরি নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্বের লড়াই এ শামিল হয়েছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Net foreign investment in stocks

Foreign investors returning to stock market

After a long time, foreign investors are showing renewed interest in buying shares of listed companies in Bangladesh as they hope good governance will return to the local stock market following the recent political changeover.

12h ago