দাম বেড়েছে টয়লেট্রিজ সামগ্রীর

সম্প্রতি খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের পাশাপাশি টয়লেট্রিজ সামগ্রী ও ঘর পরিষ্কার রাখার উপকরণের দামও বেড়েছে। এতে  সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়েছে।

সম্প্রতি খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের পাশাপাশি টয়লেট্রিজ সামগ্রী ও ঘর পরিষ্কার রাখার উপকরণের দামও বেড়েছে। এতে  সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়েছে।

৬ মাসের ব্যবধানে বর্তমানে প্রায় সব ধরনের সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, ডিটারজেন্ট ও টয়লেট ক্লিনারের দাম ১০ থেকে ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

উৎপাদনকারীরা জানান, কাঁচামাল আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে তারা এসব পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১৫০ গ্রাম ওজনের লাক্স সাবানের দাম ছিল ৫৫ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার তা ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির হার ২৭ শতাংশ। 

ক্যাব জানায়, গত মাসে ১ কেজি হুইল ডিটারজেন্ট পাউডারের দাম ছিল ১০০ টাকা, যা এখন ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে, তিব্বত ওয়াশিং পাউডার মে মাসে ১০০ টাকা ছিল এবং এর দাম বেড়ে এখন ১১০ টাকা হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিনিধিরা এসব সামগ্রীর দাম জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, নতুন করে সব পণ্যের দাম বাড়ছে।

জানতে চাইলে তিব্বত ব্র্যান্ডের পণ্যের বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান কোহিনূর কেমিক্যাল লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ব্র্যান্ড) গোলাম কিবরিয়া সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাঁচামাল ও প্যাকেজিংয়ের খরচ যথেষ্ট বেড়ে গেছে। এ কারণে গত ৫-৬ মাসে ধীরে ধীরে আমাদের পণ্যের দাম বাড়াতে হয়েছে।'

করোনাভাইরাসের কারণে মন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।

কিবরিয়া আরও জানান, দাম বেড়ে যাওয়ায় তিব্বতের পণ্যের চাহিদা ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমেছে। 

এ বিষয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের এক মুখপাত্র জানান, সম্প্রতি বৈশ্বিক বাজারে কাঁচামালের দাম ও শিপিং খরচ বেড়ে যাওয়া এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানি ও উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।

'নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতির মধ্যে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়েছি দাম বাড়াতে', বলেন তিনি।

স্কয়ার টয়েলেট্রিজের হেড অব মার্কেটিং জেসমিন জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেসব পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা খরচের সঙ্গে তাল মেলাতে পারিনি, সেগুলোর দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি আমরা। তবে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সমানুপাতিক হারে আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি।'

তিনি জানান, কিছু পণ্যের কাঁচামাল ও প্যাকেজিং উপকরণের দাম কমায় ওইসব পণ্যের দাম কমাবেন তারা। 

স্কয়ারের ডায়পার ও স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম বাড়ানো হয়নি বলে জানান তিনি।

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ মুনাফা অর্জনের মানসিকতার কারণে খুচরা বাজারে পণ্যের দাম বেশি থাকে। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন নিম্ন ও সুনির্দিষ্ট আয়ের ভোক্তারা।'

Comments