অস্ট্রেলিয়াকে আবারও সতর্ক করলো চীন
অস্ট্রেলিয়াকে তাইওয়ান ইস্যুতে আবারও আবারও সতর্ক করেছে চীন। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জিয়াও কিয়ান আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে সতর্কবার্তা দেন।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জিয়াও কিয়ান বলেন, 'এই সংবাদ সম্মেলন শুধু অস্ট্রেলিয়াকে 'সতর্কবার্তা' মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি বলতে চাই, অস্ট্রেলিয়াকে খুব সাবধানতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
চীনা রাষ্ট্রদূত তাইওয়ানকে অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপ অঞ্চল তাসমানিয়ার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, 'চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে।'
অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে তাইওয়ান ইস্যুতে 'সতর্কতার সঙ্গে' আচরণ করতে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'স্ব-শাসিত দ্বীপের ওপর বেইজিংয়ের আঞ্চলিক দাবির বিষয়ে আপস করার কোনো জায়গা নেই।'
তিনি আরও বলেন, তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্রীকরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব উপায় ব্যবহার করতে আমরা প্রস্তুত আছি। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় ও শক্তিশালী দেশের সরকারের জন্য "এক চীন" নীতির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে একাত্ম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।'
প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী দিয়ে তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
চীন তাইওয়ানের আশেপাশে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যুদ্ধজাহাজ ও ড্রোন মোতায়েন করেছে। তাইওয়ানের আশেপাশে চীনের সর্বকালের সর্ববৃহৎ সামরিক মহড়া চলছে এবার।
রাষ্ট্রদূত জিয়াওকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, তাইওয়ানকে দখলে নিতে চীন সরকার শক্তি প্রয়োগ করতে কী শর্ত ব্যবহার করবে?
উত্তরে তিনি বলেন, 'আমাদের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য আমরা সম্পূর্ণরূপে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।'
গত সপ্তাহে চীনা দূতাবাস তাইওয়ান ইস্যুতে অবস্থানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ভূমিকার নিন্দা জানিয়েছিল এবং সতর্ক করে বলেছিল যে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার 'আঙুল তোলা' একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং চীনকে শান্ত ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments