আমরা বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন চাচ্ছিলাম, আমাদের সংস্কৃতির বিষয়গুলো যতটুকু সম্ভব এই সাড়ে আট হাজার মাইল দূরের একটি স্টেটে তুলে ধরতে।
সত্যি বলতে এটা পুরোটাই নির্ভর করছে আবেদনকারীর ইচ্ছা, তার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং পারিপার্শ্বিক নানান বিষয়ের ওপর।
‘ঈদের দিন প্রেজেন্টেশনও দিতে হয়েছে। এক ঈদে তো পুরোটা সময় অফিস ডেস্কেই পার করে দিয়েছি। সন্ধ্যায় শুধু বন্ধুর বাসায় দাওয়াত ছিল বলে, না হয় মনেই হতো না দিনটা ঈদ।’
অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামকে শুধু শ্রেণিকক্ষকেন্দ্রিক মনে করেন।
‘তখন বন্ধুদের মধ্যে গল্পই হতো কে কয়টা বই পড়েছি, কোন বই নতুন এলো দোকানে, তার কাহিনী কী- এসব নিয়ে। কিছু বন্ধু বই ধার দিতেও রাজি হয়ে যেত, বাকিরা বেশিরভাগই দিতে চাইত না।’
সাধারণত ৫০০ থেকে শুরু করে ১২০০ শব্দের মধ্যে এসওপি লেখা হয়। আবার কখনো এর বেশিও হতে পারে।
নিজ দেশের চেনা পথঘাট, একঘেয়ে লাগতে থাকা প্রতিদিনের খাবার, এমনকি শহরের শোরগোলও তখন বেশ মনে পড়তে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসার অন্যতম ভালো দিক হলো এখানকার আউটডোর অ্যাক্টিভিটিস। যার যেটা পছন্দ, সে সেদিকেই সময় দেয়। এই স্বাধীনতায় কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
পুরো ক্যাম্পাসে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী ছাড়া এখন কারও দেখা মেলা ভার। ক্যাম্পাসের পরিচিত পথ এবং ডর্মগুলোয় যেখানে সবসময় শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততা, কোলাহল চোখে পড়তো, এখন সে সবের কিছুই নেই। এমনটা হওয়া...
‘ব্লু গ্রাস’ বা নীলচে ঘাসের শহর কেন্টাকির লেক্সিংটন। আনুমানিক ১৬ শতকের দিকে কিছু ইউরোপীয় যারা ‘অদেখাকে দেখার উদ্দেশ্যে’ আমেরিকায় পাড়ি জমান, তাদের হাত ধরে আসে এই নীলচে-সবুজাভ ঘাসের বীজ। এই লেক্সিংটন...
দেশে যেমন এই সময়ে ফাইনাল পরীক্ষা চলতো, যুক্তরাষ্ট্রেও এই সময়ে সেমিস্টার প্রায় শেষের দিকে। কারও কয়েক ঘণ্টার কাগজে-কলমে পরীক্ষা, কারও গবেষণা প্রবন্ধ জমা দেওয়ার সময়, আবার কারও সর্বশেষ গবেষণা উপস্থাপন।...
ফল ব্রেক বা শরৎকালীন দুদিন ছুটির পর সবাই এখানে অপেক্ষা করে থাকে থ্যাংকসগিভিং ব্রেকের। বড়দিনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ছুটির সময় হলো এই থ্যাংকসগিভিং ব্রেক। প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার...
কেন্টাকির এই লেক্সিংটন শহরে আমার যাত্রাপথ ধরে নিচ্ছি খুব বেশির দিনের না। কেননা আমার পরবর্তী উচ্চশিক্ষার জন্য আগামী গন্তব্য কোথায় হবে তা জানি না। কোন স্টেটের কোন শহরতলীতে, জানি না। কোন...
দেশের বাইরে পড়তে আসলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সাধারণ এবং স্বাভাবিক বিষয় হলো- মন খারাপ হওয়া। মন খারাপের তো আর এ মহাদেশ সে মহাদেশ নেই, তবে নিজের বাড়ি, চেনা জগত থেকে দূরে থাকলে ছোটখাটো...
এখানে এই এক সুবিধে। রাতে একদম ফাঁকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসস্টপেজেও নিরাপদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়। বাসে ঘুমিয়ে পড়লেও অমায়িক ড্রাইভার বিরক্ত হননি হাসিমুখে পড়াশোনার কথা জিজ্ঞেস করা ছাড়া।
অনেকেই বলে শিক্ষকতা একঘেয়ে, এখানকার অধ্যাপকদের লাইফস্টাইল কিংবা দেশের কয়েকজন শিক্ষকে দেখেও আমার তা মনে হয়নি। বরং সকাল ৮টা-৫টা অফিস, অন্যের প্রোফিটের জন্য কাজ করাটা আমার একঘেয়ে লেগেছে।
ছোটবেলা থেকে আমরা যে হীনম্মন্যতায় বড় হই, ইংরেজি ভালোভাবে বলতে না পারার কারণে কিংবা একমাত্র এই ভাষাজ্ঞান দিয়েই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে জাহির করবার যেই বিষয়টা চলমান, সেটা এখানকার স্থানীয়দের...