লাতিন আমেরিকার কোনো এক কল্পিত মাকোন্দো গ্রামে এই উপন্যাসের সূত্রপাত।
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সমাজে এখনো একটা মানসিকতা রয়েছে—‘নামী’ বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়লে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
এক সময় তরুণদের মধ্যে এই পেশা বেছে নেওয়ার প্রবল আগ্রহ থাকলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।
প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষে গিয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার এই দায়িত্ব যেমন আনন্দের, তেমনি তা এক ধরনের চাপও সৃষ্টি করে।
‘আমাদের ডর্মের ফ্লোরে ছিল বিশ্বের নানা দেশের ছাত্রছাত্রী। প্রত্যেকের নিজস্ব খাবারের রেসিপি, নিজস্ব ঘ্রাণ।’
এখন প্রশ্ন উঠছে, একজন শিক্ষার্থী কিংবা গবেষক যদি গবেষণার জন্য তথ্য বিশ্লেষণ, লেখার কাজে এআই ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি কি আদৌ নিজের চিন্তা বা শ্রমের প্রতিফলন দেখাতে পারছেন?
বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন করা কেবল একটি ডিগ্রি পাওয়ার গল্প নয়। এটি একটি লম্বা, জটিল, কখনো একাকিত্ব, কখনো অনিশ্চয়তায় পূর্ণ যাত্রা।
‘এখন বুঝি, আমার কল্পনার রংগুলোর অনেকটাই জিবলি মুভির রং-তুলিতেই আঁকা হয়েছিল।’
এখানে এই এক সুবিধে। রাতে একদম ফাঁকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসস্টপেজেও নিরাপদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়। বাসে ঘুমিয়ে পড়লেও অমায়িক ড্রাইভার বিরক্ত হননি হাসিমুখে পড়াশোনার কথা জিজ্ঞেস করা ছাড়া।
অনেকেই বলে শিক্ষকতা একঘেয়ে, এখানকার অধ্যাপকদের লাইফস্টাইল কিংবা দেশের কয়েকজন শিক্ষকে দেখেও আমার তা মনে হয়নি। বরং সকাল ৮টা-৫টা অফিস, অন্যের প্রোফিটের জন্য কাজ করাটা আমার একঘেয়ে লেগেছে।
ছোটবেলা থেকে আমরা যে হীনম্মন্যতায় বড় হই, ইংরেজি ভালোভাবে বলতে না পারার কারণে কিংবা একমাত্র এই ভাষাজ্ঞান দিয়েই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে জাহির করবার যেই বিষয়টা চলমান, সেটা এখানকার স্থানীয়দের...
শেষ বেলায় মন খারাপ হলেও প্রত্যেককেই হাসিমুখেই বিদায় দিয়ে বলা হলো, এরপর নিশ্চয়ই দেখা হবে নতুন আরেক শহরে, অন্য কোনো রেস্তোরাঁয়!
যতবার পড়ালেখা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, আমার অধ্যাপকরা ততবারই অভয় দিয়েছেন। তাদের কাছে শুনেছি, ‘জীবনের জন্য পড়াশোনা, পড়াশোনার আগে তোমার জীবন নয়।’
কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে ইউরোপে উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন বৃত্তি বা স্টাইপেন্ড সীমিত হয়ে যাওয়া এবং একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে জিআরই শিথিল করে দেওয়ার কারণে এখন সামাজিক বিজ্ঞানের অনেক শিক্ষার্থীই যুক্তরাষ্ট্রে...
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে যে, গবেষণার পরিবেশ ও পরিচালনা জন্য পর্যাপ্ত অর্থের সরবরাহ রয়েছে। এখানে উচ্চশিক্ষা মানেই গবেষণা।
প্রায়শই ভাবি, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে হল ব্যবস্থা; আবাসন ব্যবস্থার তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, কিংবা সার্বিক যে অবকাঠামো সেখানে আসলে এতসব সুযোগ-সুবিধা অনুপস্থিত।
যেসব শিক্ষার্থী আগামী বছরের ‘ফল সিমেস্টার’ অর্থাৎ আগস্টের ফান্ডিং প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হতে চান, তাদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর সময় এখন।
পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ-বিভূঁইয়ে ভিন্ন সংস্কৃতিতে একা থাকতে হয় বলে সামান্য অসুস্থতাও ঝামেলার মনে হতে পারে। আবার সিমেস্টার চলাকালীন প্রচুর কর্মব্যস্ততার মাঝে সামান্য অসুস্থতাও অনেক বড় বিপত্তির কারণ...