বাণিজ্য

টেক্সটাইল পণ্যের ঘোষণায় সিগারেট, ৭ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দরে টেক্সটাইল পণ্যের ঘোষণায় আসা একটি কনটেইনারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার শলাকা সিগারেট পাওয়া গেছে। সাভারের ঢাকা ইপিজেডের জোং শিন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে কনটেইনারটি আমদানি করা হয়। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
টেক্সটাইল পণ্যের ঘোষণায় আনা সিগারেট। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম বন্দরে টেক্সটাইল পণ্যের ঘোষণায় আসা একটি কনটেইনারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার শলাকা সিগারেট পাওয়া গেছে। সাভারের ঢাকা ইপিজেডের জোং শিন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে কনটেইনারটি আমদানি করা হয়। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, এতে ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে।

ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক বলেন, 'চীন থেকে টেক্সটাইল ডায় (রঞ্জক) স্টাফ ঘোষণায় ওই কনটেইনারটি বন্দরে আসে। এআইআর শাখা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রপ্তানিকারক, উৎপাদনকারী দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এ চালানে অসত্য ঘোষণার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ধারণা করে। এরপর আজ সোমবার কনটেইনারটি ফোর্স কিপডাউন করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।

যাতে মন্ড (ন্যানো), মন্ড (সুপার স্লিম) ও ক্যাভেলো পিউর ইত্যাদি ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখার প্রচেষ্টায় ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাস্টমস হাউসের কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক।

Comments